উত্তরে বইছে শীতের আমেজ

অপরাধ তথ্যচিত্র ডেক্স: প্রকৃতিতে এখন হেমন্তকাল। শীত আসতে আরও বেশকিছু দিন বাকি। তবে এরই মধ্যে উত্তরে বইছে হিমেল হাওয়া। উত্তরের জেলাগুলোতে এখন শীতের আমেজ। দিনে রোদের তাপ থাকলেও সন্ধ্যার পর থেকেই ঝড়তে শুরু করে কুয়াশা। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশাও বাড়দে থাকে। কুয়াশার চাদরের ভেতর দিয়েই উুঁকি দেয় ভোরের সূর্য।
হিমালয় পাদদেশের অবস্থিত দিনাজপুরের বিভিন্ন জনপদে ধীরে ধীরে নামছে শীত। দিনের স্থায়ীত্ব কমে এসেছে। রাত হচ্ছে দীর্ঘ। দিনাজপুরে এরই মধ্যে শুরু হয়েছে শীতের কাপড় বিক্রি। শীতের আমেজে ফুঁটে উটঠছে আবহমান গ্রাম-বাংলার চিরায়চিত ঐতিহ্যের রূপও। শীতের এমন আগমনী বার্তায় শীত নিবারণে প্রস্তুত্তি নিলেও শুরুতেই শীত নিবারণে হিমসিম খাচ্ছে, হতদরিদ্র-ছিন্নমূল মানুষ। বুধবার (৪ নভেম্বর) রাত থেকে অনুভুত হচ্ছে শীত। হঠাৎ এ শীত মোটা কাপড় ও কাথা মোড়াতে বাধ্য করেছে। দিনে রোদ থাকলেও সন্ধ্যার পর শীত অনুভব হচ্ছে। ভোরের আবহাওয়াও বেশ ঠান্ডা বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। দিনাজপুর আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. তোফাজ্জল হোসেন জানিয়েছেন, এ মৌসুমে সর্বোনিন্ম তাপমাত্রা ছিলো বৃহস্পতিবার। ১৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দু’একদিনে তাপমাত্রা আরো কমবে বলেও তিনি জানান। আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. তোফাজ্জল হোসেন মতে, সন্ধ্যার পর থেকেই তাপমাত্রা কমে আসতে শুরু করে। তাই,একটু আগে-ভাগেই শীত অনুভূত হচ্ছে। দিনে সূর্যের তাপ থাকলেও সন্ধ্যার পর তাপমাত্রা কমে আসছে। রাতে কুয়াশাও পড়ছে। এদিকে শীতের আমেজে ফুঁটে উঠছে,আবহমান গ্রাম-বাংলার চিরায়চিত ঐতিহ্যের রূপ। ভোরের আলোয় ঘাস,ফুল আর লতাগুল্মে শিশি’র বিন্দু করছে মুক্তদানার মতো চিকচিক। কুয়াশায় উঁকি মারছে সকালের সূর্য। বাজারে উঠছে নিত্য-নতুন শীতের সবজি। ফসল উৎপাদনে কাঁধে লাঙ্গল আর জোয়াল নিয়ে মাঠে ছুটঁছেন কৃষক। চলছে আমন ধান কাটা-মাড়াই আর ঝাড়াই উৎসব। ভাপা পিঠা আর চিতোই পিঠা বানানো এবং খাওয়ার ধুম চলছে সমান তালে। কাক পাখির পাশাপাশি শিশু-কিশোররাও স্বাদ নিচ্ছে খেজুর রসের। শীত নিবারণে কেউ তৈরি করছে কাঁথা, কেউ লেপ-তোষক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *