তানোরে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে বাণিজ্যের অভিযোগ

তানোর(রাজশাহী)প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোর পৌরসভা কারিগরি (বিএম) কলেজে জৈষ্ঠতা লঙ্ঘন করে নিয়োগ পাওয়া আলোচিত (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যক্ষ অসিম কুমার হালদারের বিরুদ্ধে বাণিজ্যের গুঞ্জন উঠেছে। স্থানীয় সুত্র জানায়, উপজেলা প্রশাসনের শীর্ষ পর্যায়ের এক কর্মকর্তার ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের ডাচ্ বাংলা ব্যাংকে নতুন হিসাব খুলতে বাধ্য করে মাথা পিছু ৩০০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকা করে হাতিয়ে নিচ্ছেন অসিম কুমার হালদার। এদিকে এই খবর ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিস্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারী, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মধ্য চরম অসন্তোষের সৃস্টি হয়েছে, উঠেছে সমালোচনার ঝড়। অন্যদিকে কয়েক জন শিক্ষক-শিক্ষার্থী কলেজ সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুশান্ত কুমার মাহাতোকে বিষয়টি অবগত করেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও গত বৃহস্পতিবার সরেজমিন কলেজে গিয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে না পেয়ে ফোনে ডেকে নিয়ে এসব বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি অস্বীকার করেন বলে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে। এছাড়াও সম্প্রতি বিদায়ী অধ্যক্ষ ইলিয়াস আলী মৃধা কলেজে আসলে তাকে বসতে জায়গা কটাক্ষ করলে তিনি কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে ও কাঁদতে কাঁদতে কলেজ ত্যাগ করেন বলেও সুত্রটি নিশ্চিত করেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তানোর সরকারী কলেজে অসিম ডাচ্ বাংলা ব্যাংকে উপবৃত্তির একাউন্ট খুলতে গেলে তাকে ভৎসনা করে তাড়িয়ে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ বলেও গুঞ্জন বইছে। প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ১০ অক্টোবর জৈষ্ঠতা লঙ্ঘন করে অসিম কুমার হালদারকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেন কলেজ সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুশান্ত কুমার মাহাতো বলে আলোচনা রয়েছে। অন্যদিকে ডাচ্ বাংলা ব্যাংকে দুই লাখ টাকার বিনিময়ে গোপনে এক ব্যক্তিকে নিয়োগ দেওয়ার পায়তারা করছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। অথচ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, ব্যাপক প্রচার ও নিয়োগ পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়ার নিয়ম রয়েছে।এবিষয়ে জানতে চাইলে তানোর পৌরসভা কারিগরি এ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট (বিএম) কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অসিম কুমার হালদার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,তিনি টাকা নিয়ে একাউণ্ট খোলেন না। আপনার কলেজের শিক্ষকরাই বলছে, আপনি ৩০০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকা করে নিয়ে একাউণ্ট খুলে দিচ্ছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, একাউণ্ট খুলতে টাকা লাগে না তবে ৩০০ বা ৩৫০ টাকা সেটা গ্রাহকের নতুন হিসাব নম্বরে সঞ্চয় জমা করা হচ্ছে, আর বৃহস্প্রতিবারে ইউএনও স্যার কলেজ গিয়ে তাকে পাননি এটা মিথ্যা কথা।এবিষয়ে কলেজ সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুশান্ত কুমার মাহাতো জানান কলেজে গিয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে না পেয়ে ফোনে ডাকার পর তিনি আসেন। তাকে একাউণ্ট খোলার নামে টাকা আদায়ের বিষয়ে বলা হলে তিনি অস্বীকার করেন, তবে কোন ভুক্তভোগী অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *