ওসির পৃষ্ঠপোষকতায় পাটকেলঘাটায় চলছে জামাতী তান্ডব
অপরাধ তথ্যচিত্র ডেক্স: ওসির পৃষ্ঠপোষকতায় সাতক্ষীরা জেলার পাটকেলঘাটা থানাধীন মনোহরপুর গ্রামে চলছে জামাতী তান্ডব। আস্তে আস্তে বেড়ে উঠা এলাকার একটি কুচক্রীমহল তথা জামাতী গ্রাসে মনোহরপুর গ্রামসহ আশ-পাশের এলাকা জুড়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম হয়েছে। এদের বিরুদ্ধে কেউ বাদ প্রতিবাদ বা কথা বলতে সাহস পায় না। আর এদেরই পৃষ্ঠপোষকতায় তাদের দায়েরকৃত একটি মিথ্যা অভিযোগ কোনরকম পুর্ব তদন্ত ছাড়াই নথিভুক্ত পুর্বক নির্দোষ ব্যাক্তিদের গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরন করে ক্ষমতার অপব্যবহারের অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন পাটকেলঘাটা থানার ওসি কাজী ওয়াহিদ মোর্শেদ। ব্যাপক তথ্যানুসন্ধান আর সরেজমিনে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে জানা গেছে, পাটকেলঘাটা থানাধীন মনোহরপুর গ্রামের মৃত বাবর আলী মোড়লের পুত্র দিনমজুর সিরাজুল ইসলাম মোড়ল ও ভ্যান চালক মফিদুল ইসলামের পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে শরীক মৃত ওয়াছেল মোড়লের পুত্র শুকুর আলী, মনিরুল গংদের বিরোধ চলে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। এরই মধ্যে একই গ্রামের মৃত সামসুর রহমান দালালের পুত্র জামাত নেতা, কয়েকটি নাশকতা মামলার আসামী আবুল হোসেন দালাল ও পাশ্ববর্তী তালা থানার বারাত গ্রামের আব্দুল মালেকের পুত্র শিবির ক্যাডার নাজমুলের কু-পরামর্শে সিরাজুল মফিদুলের ১শ বছরের দখলী সম্পত্তি গত ১৮ অক্টোবর শুকুর আলী গং জোরপূর্বক দখল করে বেড়া দিয়ে দেয়। গত ২০ অক্টোবর আনুমানিক বেলা সাড়ে ১২টার সময় সিরাজুল মফিদুল তাদের বেদখল হয়ে যাওয়া জমি মুক্ত করতে বেড়া উঠিয়ে দেয়। এসময় তৃতীয় পক্ষ এলাকার শিবির ক্যাডার ও সন্ত্রাসী খ্যাত তালা থানার বারাত গ্রামের আব্দুল মালেকের পুত্র নাজমুল বাদ প্রতিবাদ করলে সিরাজুল পুত্র মোস্তফা তাকে গলা ধাক্কা দেয়। তাৎক্ষনিক শিবির ক্যাডার নাজমুল বিষয়টি গ্রামের জামাত নেতা একাধিক নাশকতা মামলার আসামী মৃত সামসুর রহমান দালালের পুত্র আবুল হোসেন দালালকে জানায় এবং প্রচলিত অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে সংঘঠিত হয়ে বেলা আনুমানিক ৩টার সময় সিরাজুল ও মফিদুলের বাড়ীতে আক্রমণ করে। আক্রমণে গুরুতর আহত হয় সিরাজুল, মফিদুল ও পুত্রবধু। প্রতিরোধের মুখে পড়ে হামলাকারীদের মধ্যে তালা থানার বারাত গ্রামের আব্দুল মালেক ও পাটকেলঘাটা থানার মনোহরপুর গ্রামের তছেল মোড়লের ছেলে তরিকুল সামান্য আহত হয়। গুরুতর আহত সিরাজুল মফিদুল গংরা যাতে চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে, মামলা করতে থানায় যেতে না পারে, বাড়ীর বাইরে বের হতে না পারে সেজন্য শিবির ক্যাডার নাজমুলের নের্তৃত্বে একদল সন্ত্রাসী রাস্তার মোড়ে মোড়ে পাহারা বসায়। বিষয়টি পার্শ্ববর্র্র্র্তী ইসলামকাঠি গ্রামের খায়রুল অবগত হয়ে গুরুতর আহতদের তালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করে দেয়। অন্যদিকে আক্রমনকারীদের মধ্যে সামান্য আঘাতপ্রাপ্ত আব্দুল মালেক ও মনিরুলকে এম্বুলেন্স ডেকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। প্রকৃত ঘটনাকে আড়াল করে জামাত নেতা হোসেন ও শিবির ক্যাডার নাজমুল পাটকেলঘাটা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। যেখানে (অভিযোগপত্রে) ঘটনার স্থান দেখানো হয়েছে ঘটনাস্থল বাড়ির অদুরে রাস্তার পাশে এবং যারা আহত হয়েছে তাদের কেউ বা পারিবারের কেউ বাদি না হয়ে তৃতীয় একজনকে বাদী বানানো হয়েছে। সবচেয়ে মজার বিষয় হলো ওই লিখিত অভিযোগে যারা স্বাক্ষী হয়েছে তারা সবাই একই গোত্রের লোক। জামাত শিবিরের ক্যাডার। শিবির ক্যাডার নাজমুলের অপতৎপরতায় স্থানীয় জামাত নেতাদের বিশেষ তদ্বিরে পাটকেলঘাটা থানার ওসি কাজী ওয়াহিদ মোর্শেদ কোন প্রকার পুর্ব তদন্ত ছাড়াই বিশেষ ব্যবস্থায় ওই মামলাটি নথিভুক্ত করে ক্ষতমার অপব্যবহারের অনন্য নজির স্থাপন করেন। যার মামলা নম্বর ৮, তারিখ ২৩/১০/২০২০। এই মামলাটি নথিভুক্ত করে জামাত শিবিরের পৃষ্ঠপোষকতা করে চলেছেন বলে এলাকায় প্রচার উঠেছে।