রাজবাড়ীতে লিমা হত্যার বিচারের দাবীতে মানববন্ধন
স্টাফ রিপোর্টার: রাজবাড়ী প্রেসক্লাবের সামনে বুধবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে লিমা আক্তার মেঘলা (১৯) হত্যা মামলার আসামীদের ফাঁসির দাবীতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। বিয়ের মাত্র ৯ মাসের মধ্যে যৌতুকের দাবীতে স্বামী রুমন শেখ (২২) ও তার স্বজনরা বেধরক মারপিট গত ২৮ সেপ্টেম্বর সকালে লিমাকে হত্যা করে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে লাশ ফেলে পালিয়ে যায়। গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের মজিদ শেখেরপাড়া গ্রামের কেরামত শেখের কন্যা লিমা আক্তার মেঘলা। রাজবাড়ী সদর উপজেলার দাদশী ইউনিয়নের নিজাতপুর গ্রামের নবা শেখের পুত্র রুমন শেখ (২২) ২০২০ সালের ১০ জানুয়ারী লিমাকে জোরপূর্বক বিবাহ করে। বিয়ের পর উপহার হিসাবে উভয় পরিবারের মধ্যে আপোষ রফা হয়। যৌতুক হিসাবে নগদ দেড় লক্ষ টাকা ও দুটি স্বর্ণের অলংকার মেয়ের পিতা কেরামত শেখ ছেলে পক্ষকে দেয়। কিছুদিন পরেই মাদক ব্যবসায়ী রুমন শেখ পুনরায় লিমাকে তার বাপের বাড়ী থেকে আরো দুই লক্ষ টাকা আনার জন্য মারধর করে। লিমা তার স্বামীকে জানান, আমার পিতা গরীব মানুষ দৌলতদিয়া ঘাটে একজন সাধারণ কলা বিক্রেতা। তাহার নিকট যে টাকা পয়সা ছিল তা সবই আমার সুখের কথা ভেবে দিয়ে দিয়েছে। এখন আর নতুন করে যৌতুকের টাকা দিতে পাবে না। এ কথা শুনে লিমাকে রাত ভর নিজাতপুর গ্রামের তার স্বামীর বাড়ীতে হাত-পা বেধে মারধর করে। সকাল ৮ টার দিকে লিমাকে হত্যার পর রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে ফেলে তার স্বামী ও স্বজনরা পালিয়ে যায়। বেলা ১১ টার দিকে ছেলের বড় বোন মেয়ের বাবাকে মোবাইল ফোনে মৃত্যুর সংবাদ জানায়। রাজবাড়ী থানার এসআই তারিকুল ইসলাম লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজবাড়ী মর্গে প্রেরণ করে। মেয়ের পিতা অভিযোগ করেন – সে লেখা-পড়া না জানলেও পুলিশ তার পক্ষে স্বাক্ষর করে হত্যার ঘটনা ধামাচাপা দেয়।
রাজবাড়ী বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আদালতে গত ১৫ অক্টোবর লিমার মা মোছাঃ মালেকা বেগম বাদী হয়ে ৬ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করে। আসামীরা হলো- রুমন শেখ, জাহিদ শেখ, রমজান শেখ, শিখা খাতুন, রওশন আরা খাতুন ও মোঃ আজাদ খান। বিজ্ঞ আদালত রাজবাড়ী ডিবি ওসিকে তদন্ত করে রিপোর্ট দাখিলের নির্দেশ দেন। আসামীরা বাদীকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বিভিন্ন প্রকার হুমকি দিচ্ছে বলে বুধবার দুপুর ২৮ অক্টোবর বাদী পক্ষ জানান।
ক্লাবের সামনে বুধবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে লিমা আক্তার মেঘলা (১৯) হত্যা মামলার আসামীদের ফাঁসির দাবীতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। বিয়ের মাত্র ৯ মাসের মধ্যে যৌতুকের দাবীতে স্বামী রুমন শেখ (২২) ও তার স্বজনরা বেধরক মারপিট গত ২৮ সেপ্টেম্বর সকালে লিমাকে হত্যা করে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে লাশ ফেলে পালিয়ে যায়। গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের মজিদ শেখেরপাড়া গ্রামের কেরামত শেখের কন্যা লিমা আক্তার মেঘলা। রাজবাড়ী সদর উপজেলার দাদশী ইউনিয়নের নিজাতপুর গ্রামের নবা শেখের পুত্র রুমন শেখ (২২) ২০২০ সালের ১০ জানুয়ারী লিমাকে জোরপূর্বক বিবাহ করে। বিয়ের পর উপহার হিসাবে উভয় পরিবারের মধ্যে আপোষ রফা হয়। যৌতুক হিসাবে নগদ দেড় লক্ষ টাকা ও দুটি স্বর্ণের অলংকার মেয়ের পিতা কেরামত শেখ ছেলে পক্ষকে দেয়। কিছুদিন পরেই মাদক ব্যবসায়ী রুমন শেখ পুনরায় লিমাকে তার বাপের বাড়ী থেকে আরো দুই লক্ষ টাকা আনার জন্য মারধর করে। লিমা তার স্বামীকে জানান, আমার পিতা গরীব মানুষ দৌলতদিয়া ঘাটে একজন সাধারণ কলা বিক্রেতা। তাহার নিকট যে টাকা পয়সা ছিল তা সবই আমার সুখের কথা ভেবে দিয়ে দিয়েছে। এখন আর নতুন করে যৌতুকের টাকা দিতে পাবে না। এ কথা শুনে লিমাকে রাত ভর নিজাতপুর গ্রামের তার স্বামীর বাড়ীতে হাত-পা বেধে মারধর করে। সকাল ৮ টার দিকে লিমাকে হত্যার পর রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে ফেলে তার স্বামী ও স্বজনরা পালিয়ে যায়। বেলা ১১ টার দিকে ছেলের বড় বোন মেয়ের বাবাকে মোবাইল ফোনে মৃত্যুর সংবাদ জানায়। রাজবাড়ী থানার এসআই তারিকুল ইসলাম লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজবাড়ী মর্গে প্রেরণ করে। মেয়ের পিতা অভিযোগ করেন – সে লেখা-পড়া না জানলেও পুলিশ তার পক্ষে স্বাক্ষর করে হত্যার ঘটনা ধামাচাপা দেয়।
রাজবাড়ী বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আদালতে গত ১৫ অক্টোবর লিমার মা মোছাঃ মালেকা বেগম বাদী হয়ে ৬ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করে। আসামীরা হলো- রুমন শেখ, জাহিদ শেখ, রমজান শেখ, শিখা খাতুন, রওশন আরা খাতুন ও মোঃ আজাদ খান। বিজ্ঞ আদালত রাজবাড়ী ডিবি ওসিকে তদন্ত করে রিপোর্ট দাখিলের নির্দেশ দেন। আসামীরা বাদীকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বিভিন্ন প্রকার হুমকি দিচ্ছে বলে বুধবার দুপুর ২৮ অক্টোবর বাদী পক্ষ জানান।