দামুড়হুদার স্থানীয় মিশ্র গুটি সার তৈরীর ব্রিকেট মেশিন গুলো কোন কাজেই আসলোনা॥
হাবিবুর রহমান,চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার বিসি আইসি, সাব ডিলার ও কৃষকরা কৃষি অফিসের সহায়তায় নিজ উদ্দ্যেগে মিশ্র গুটি ইউরিয়া ও মিশ্র এনপিকে সার তৈরীর ব্রিকেট মেশিন কিনে নিজেরা সার তৈরী করে সল্প খরচে অধিক লাভবান হওয়ার কৃষকরা নিজেদের আগ্রহেয় শুধু মাত্র এই সার ব্যবহার করতো।বছর তিনেক ব্যপক হারে ব্যবহারের পর এ থেকে কৃষকরা ধীরে ধীরে এর ব্যবহার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে শুরু করেছে।উপজেলায় ৭টি ব্রিকেট মেশিন নিয়মিত ভাবে এর উৎপাদন করে আসলেও বর্তমানে ৭টির মধ্যে ৫টি বন্ধ হয়ে আছে।বাকি দুটি চালু আছে।উৎপাদন খরচ কম ও ফলন বেশি হলেও কৃষকরা এর থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়ায় মেশিন গুলো বন্ধ হয়ে গেছে। দামুড়হুদা কৃষি অফিস সুত্রে জানাগেছে,উপজেলার হাউলি গ্রামের আজিজুর রহমান,বুইচিতলা গ্রামের রুহুল আমিন,দেউলি ছানোয়ার হোসেন,কেবপুর গ্রামের টুটুল,কলাবাড়ী গ্রামের শাহিন আলম ও লোকনাথপুর গ্রামের নুর আলম টুটুল এই ব্রিকেট মেশিন আমেরিকার প্রজেক্ট এর মাধ্যমে ৮০ হাজার টাকার মূল্যের মেশিন ভতুকি মূল্যে ৪০হাজার টাকায় ২০১৩ /২০১৪আর্থ বছরে ক্রয় করে তারা এই সার তৈরি করে বিক্রি করে আসছিল।প্রকল্পের বিভিন্ন ধরনের প্রচার প্রচারনায় ও কৃষি অফিসের তত্বাবধানে কম খরচে উৎপাদন বেশি হওয়ায় বছর তিনেক এর ব্যবহার ব্যপক হারে শুরু হয়।পরে ধীরে ধীরে এর ব্যবহার কমতে শুরু হয়। ব্যবহার কমতে শুরু করলে এক পর্যায়ে একে একে ৫টি মেশিন বন্ধ হয়ে যায়।দামুড়হুদার কার্পাসডাঙ্গার বিসিআইসি ডিলার সুম্ভু গোপাল বোস ও বুইচি তলা গ্রামের রুহুল আমিনের মেশিন দুটি ঢিলে ঢালা ভাবে চালু থাকে।বর্তমানে ৫টি বন্ধ হয়ে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে।
হাউলি গ্রামের সার উৎপাদনকারি আজিজুর রহমান,দেউলি গ্রামের ছানোয়ার হোসেন ও কলাবাড়ী গ্রামের শাহিন আলম বলেন,এলাকার কৃষক দের সুবিধার্থে ২০১৩/২০১৪ অর্থ বছরে ভতুর্কি মূল্যে প্রকল্প থেকে নেওয়া মেশিনে গুটি ইউরিয়া ও মিশ্র গুটি এনপিকে সার ব্যবহার করে কৃষকরা ধান চাষে ভালো লাভবান হচ্ছিল।এর ব্যপক চাহিদা ও ছিল বছর তিনেক খুব ভালো চলার পর ধীরে ধীরে এর চাহিদা কমতে শুরু করলে এক পর্যায়ে আর চালানো সম্ভব হয়নি।বিঘা প্রতি গুড়া ইউরিয়া ৫০ কেজি ২০ কেজি টিএসপি এমপিসহ বিভিন্ন ধরনের সার মিলিয়ে য়েখানে প্রায় সাড়ে তিন হাজার টাকা খরচ হয়ে।অথচ কিন্তু ইউরিয়ার সংমিশ্রনে তৈরী এনপিকে ৫৭০টাকা ও দুটি লেবার ৫শত টাকাসহ অন্যান্য সার মিলে মোট ১হরজার ৪শত সত্তর টাকা বিঘাপ্রতি খরচ হয়। যা গুড়া ইউরিয়াসহ বিভিন্ন সারের তুলনায় প্রায় ১ হাজার ৩৫টাকা খরচ কম হয়।তেমনই প্রায় অর্ধেক পরিমান সার সাশ্রয় হয়ে থাকে। দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি অফিসার মনিরুজ্জামান জানান, গুটি ইউরিয়া ও গুটি এনপিকে সারে খরচ কম হয় ও ফলন অনেক বেশি হয়।এই সার ধান ক্ষেতে শুধু মাত্র একবার প্রয়োগ করতে হয়। গুড়া সারের মত বারবার প্রয়োগ করা প্রয়োজন হয় না।মিশ্র এই সারে ৪০ থেকে ৭০শতাংশ ফলন বেশি হয়ে থাকে।আমরা সব সময় চাষিদেরকে গুটি ইউরিয়া অথবা এনপিকে গুটি সার ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে থাকি।কোন প্রকল্প পেলে আবারো চাষিদের উদ্বুদ্ধ করে এই সার ব্যবহারে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করবো।