ঝিনাইদহের আলোচিত আদম ব্যাপারী শাহিনুর রহমান টিটোর নামে মানব পাচারের মামলা
সাহিদুল এনাম পল্লব, ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের আলোচিত আদম ব্যপারী শাহিনুর রহমান টিটোর নামে থানায় অভিযোগ দিয়ে তার কোন প্রতিকার না পেয়ে অবশেষে ঝিনাইদহ আদালতে মামলা করলেন ভুক্তভোগীরা। তাদের একজন ঝিনাইদহ শহরের ব্যাপারী পাড়ার আন্দুর রহমানের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান বাদি হয়ে গত ১০/০৮/২০২০ তারিখে ঝিনাইদহ আদালতে হাজির হয়ে ২০১২ সালের মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনের ৬ ধারায় একটি মামলার আবেদন করে। উক্ত আবেদনটি ২৪/০৮/২০২০ তারিখে ঝিনাইদহের নারী ও শিশু আদালতের বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট ঝিনাইদহ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ কে এজাহার হিসাবে গণ্য কারার নির্দেশ দেন।অপর ব্যাক্তি ঝিনাইদহ সদর উপজেলার গাড়ামারা গ্রামের ইচাহক আলীর ছেলে হাফিজুর রহমান বাদি হয়ে টিটোর নামে একই দিনে পৃথক ২০১২ সালের মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনের ৬ ধারায় একটি মামলার আবেদন আদালতে দায়ের করে। এই আবেদনের ব্যপারে আদালত একই নির্দেশ দেন।তাদের একজন ঝিনাইদহ সদর উপজেলার জাড় গ্রামের মুরাদ আলীর ছেলে আব্দুর রাজ্জাক বাদি হয়ে গত ১৭/০৮/২০২০ তারিখে ঝিনাইদহের বিজ্ঞ সিনিয়ার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে ৪০৬/৪২০ ধারায় মামলা দায়ের করলে আদালত ২৭/১০/২০২০ তারিখে মামলা হিসাবে গ্রহণ করে। মামলা নম্বর ঝি সি আর ৫০৬/২০২০। মামলায় বাদি উল্লেখ করেন তাকে ইতালি পাঠানোর কথা বলে ইউনাইটেট কমার্শিয়াল ঝিনাইদহ শাখা ০০৪৫১২১০০০৫৫২৫৭ হিসাব নম্বরের মাধ্যমে ৬ লক্ষ ২০ হাজার টাকা নেয়। পরে বিদেশে না পাঠাতে পারলে টাকা চাইতে গেলে তাকে তাড়িয়ে দেয়।পূর্বে যশোর জেলার বাঘারপাড়া থানার চেচুয়াখোলা গ্রামের ইসমাইল হোসেন মোল্লার ছেলে হাজী শহর আলী ১২/০৩/২০০৭ সালে শাহিনুর রহমান টিটোর নামে ঢাকা খিলখাও থানায় একটি মামলা দায়ের করে। পরে খিলগাও থানা পুলিশ তার বিরুদ্ধে তদন্ত করে উক্ত মামলাটি ৪০৬/ ৪২০ ধারার প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাৎ হিসাবে চারসিট ডি এম সি ঢাকা আদালতে দাখিল করে।
উল্লেখ্য শাহিনুর রহমান টিটো ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কুমড়াবাড়ীয়া ইউনিয়নের ইউসুফ আলী মণ্ডলের ছেলে । পূর্বে তার মানব পাচারের কাহিনী দৈনিক আন্দোলনের বার্তা ২৪ সহ দৈনিক মানব জমিন ও দৈনিক সকালের সংবাদে প্রকাশিত হওয়ার পরও সে অজানা কারনে থেকে যায় সকলের ধরা ছোঁয়ার বাহিরে। ঝিনাইদহের অনেক মানুষের নিকট থেকে বিদেশ পাঠানর কথা বলে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে টিটো। যার কারনে অনেক ভুক্তভোগী পথে বসেছে ঘুরছে দিনের পর দিন। অনেকে টাকা পাবার আসা ছেড়ে দিয়েছে।