তানোরের মহানগর ক্লিনিকে ভূল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যু
তানোর(রাজশাহী)প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোরে আলোচিত মহানগর ক্লিনিকে ভূল চিকিৎসায় ফের প্রসূতি মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। তানোরের বহুল আলোচিত মহানগর ক্লিনিকে মৃত্যুর মিছিল আরো কত বড় হলে এদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের টনক নড়বে। স্থানীয়রা জানান চিকিৎসকের পরিবর্তে আয়া-কর্মচারী দিয়ে অপারেশন করাতে গিয়ে এই অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটছে, এর আগেও এই রকম একাধিক ঘটনা ঘটেছে। এসব মৃত্যুর দায় নিবে কে-? তারা বলেন, এক ইউপি সদস্যর মাধ্যমে নিহতের পরিবারের মুখ বন্ধ রাখতে এক লাখ টাকা দিয়ে রফাদফা করা হয়েছে। এদিকে ক্লিনিকে সার্বক্ষনিক একজন এমবিবিএস চিকিৎসক থাকান কথা থাকলে এখানে সেটা মানা হয় না।এছাড়াও এদের রয়েছে প্রশিক্ষিত রোগী ধরা দালাল বাহিনী। এসব দালালরা কমিশনের আশায় বিভিন্ন এলাকা থেকে রোগী ধরে আনে এখানে বলে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে। আবার অনেকে বলছে, এটা নিছক দুর্ঘটনা নয় হত্যা তারা এই হত্যার বিচার চাই।প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ৬ অক্টোবর মঙ্গলবার সকালে তালন্দ ইউপির দেবীপুর গ্রামের রাজমিস্ত্রি আজম আলীর স্ত্রী এক সন্তানের জননী নিলুফা বেগম প্রসব বেদনা নিয়ে তানোর উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র যান। কিন্ত্ত তার শারীরিক অবস্থা ঝুঁকিপুর্ণ হওয়ায় স্বাস্থ্য কর্মীরা তাকে ভর্তি না করে দ্রুত রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) যাবার পরামর্শ দেন। এ সময় ক্লিনিকের এক দালাল তাকে ফুঁসলিয়ে মহানগর ক্লিনিকে নিয়ে ভর্তি করায়। এদিন বিকেলে মহানগর ক্লিনিকে চিকিৎসকের অনুপস্থিতিতেই প্রসূতির সিজার করা হলে কন্যা সন্তানের জন্ম দেয় তবে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে রাতেই প্রসূতি মুত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। তবে ঘটনা ধাঁমাচাঁপা দিতে লাশ আটকে ভোররাতে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে তাদের মুখ বন্ধ রাখতে ইউপি সদস্যর মাধ্যমে তাদের এক লাখ টাকা দিয়ে ঘটনা ধাঁমাচাঁপা দেয়া হয়। এদিকে এসব টাকার ভাগবাটোয়ারা নিয়ে নিজেরা বিরোধে জড়িয়ে পড়লে ঘটনা ফাঁস হয়ে যায়। এদিকে ময়না তদন্ত ছাড়াই বুধবার দুপুরে তড়িঘড়ি পারিবারিক কবরস্থানে নিহতের দাফন সম্পন্ন করা হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নিহতের এক স্বজন বলেন, তারা থানায় মামলা করতে গেলে তাদের এক লাখ টাকা দেবার কথা বলে মেম্বার তাদের রাস্তা ধেকে ফিরিয়ে নিয়ে আসে তবে এখানো তারা কোনো টাকা পায়নি। এঘটনায় এলাকাবাসীর চরম উত্তেজনার সৃস্টি হয়েছে। এবিষয়ে একাধিকবার যোগাযোগের চেস্টা করা হলেও মহানগর ক্লিনিকের দায়িত্বশীল কারো কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এবিষয়ে রাজশাহী জেলা সিভিল সার্জন বলেন, বিস্তারিত খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।