তানোরে স্কুলের জায়গা জবরদখল উত্তেজনা
তানোর(রাজশাহী)প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোরের সরনজাই ইউপির সরনজাই উচ্চ বিদ্যালয়ের জায়গা জবরদখলের অভিযোগ উঠেছে। এসব জমি উদ্ধারের দাবিতে স্কুল পরিচালনা কমিটির সদস্য মোহাম্মদ বাবু স্থানীয় সাংসদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) এবং স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতির কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। এ ঘটনায় অভিভাবক ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। তানোরের কালিগন্জ-কাঁকনহাট রাস্তার দুই ধারে সরনজাই বাজারে এসব অবৈধ দখলের ঘটনা ঘটেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক বলেন, অবৈধ দখলদারগণ প্রধান আব্দুল হান্নানের ঘনিষ্ঠ আত্নীয় এছাড়াও এসব দখলদারদের কাছে থেকে বড় অঙ্কের আর্থিক সুবিধা নিয়ে প্রধান শিক্ষক বিষয়টি দেখেও না দেখার অভিনয়ে ঘটনা ধাঁমাচাঁপা দেওয়ার চেস্টা করছে। স্থানীয়রা জানান, সরনজাই ইউপির জেল নম্বর ১১০ সরনজাই, দাগ নম্বর ৩১১৫ ও ৩১১৬ উক্ত সম্পত্তি সরনজাই স্কুলের। কিন্ত্ত স্কুলের (তৎকালীন) সভাপতি ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোজাম্মেল হক খাঁন এবং প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলামের যোগসাজশে স্কুলের জায়গা অবৈধভাবে দখলে নিয়ে মার্কেট ও বাড়ি নির্মাণ করেছেন। স্থানীয় প্রভাবশালী সরনজাই বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান ওরফে মিজান ও সহকারী শিক্ষক তোফাজ্জ্বল হোসেন। এদিকে তাদের দেখাদেখি রুস্তম ডিলার ও জামু হাজি স্কুলের জায়গায় মার্কেট এবং আবুল কালাম আজাদ বাড়ী নির্মাণ করেছেন। অথচ দীর্ঘদিন ধরে তারা স্কুলের সম্পত্তি অবৈধভাবে দখল করে রাখলেও রহস্যজনক কারণে স্কুল কর্তৃপক্ষ জায়গা উদ্ধার বা অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। এ ঘটনায় অভিভাবক, শিক্ষক-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্ষোভে সঞ্চার হয়েছে। স্কুল পরিচালনা কমিটির সদস্য মোহাম্মদ বাবু বলেন, এসব সম্পত্তি উদ্ধারের জন্য প্রধান শিক্ষক ও সভাপতিকে বার বার তাগাদা দেয়া হলেও রহস্যজনক কারণে তারা নিরব ভুমিকা পালন করছেন। তিনি বলেন, অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করায় তারা তাকে নানা ভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি দিচ্ছেন। এব্যাপারে স্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হান্নান বলেন, কমিটির আগামি সভায় এসব নিয়ে আলোচনা করে এসব জমি উদ্ধারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে। এব্যাপারে স্কুলের সভাপতি আলহাজ্ব সাইদুর রহমান ওরফে আবু সাঈদ বলেন, কমিটির আগামি সভায় এসব নিয়ে আলোচনা ও সম্পত্তি উদ্ধারের বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া হবে। অন্যদিকে এসব স্থাপনার মালিকগণ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, একটি মহল তাদের বিরুদ্ধে এসব অপপ্রচার করছে।