হাইকোর্টেও জামিন মেলেনি ‘কোটিপতি পিয়নের’
অপরাধ তথ্যচিত্র ডেক্স: নগদ রেজিস্ট্রেশন ফি, তল্লাশি ফি ও নকলের ফি বাবদ আদায়কৃত সরকারি রাজস্ব অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় করা মামলায় হাইকোর্টেও জামিন মেলেনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের অফিস সহায়ক (পিয়ন) ইয়াছিন মিয়া ওরফে ‘কোটিপতি পিয়নের’।বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ (ভার্চুয়াল) এ আদেশ দেন।আদেশের বিষয়টি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহজাবিন রাব্বানী দীপা। দুদকের পক্ষে ছিলেন মো. সাজ্জাদ হোসেন। আসামি পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. মোস্তফা সারোয়ার। এর আগে গত ১৬ আগস্ট তার জামিন কেন দেয়া হবে না-তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। আজ সেটি শুনানি শেষে আদালত এই আদেশ দেন।ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমিন উদ্দিন মানিক ঘটনার বিবরণে বলেন, ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের পিয়ন ইয়াছিন মিয়া নগদে রেজিস্ট্রেশন, তল্লাশি ও নকলের ফি বাবদ আদায়কৃত সরকারি রাজস্ব অর্থ ব্যাংকে জমা না দিয়ে ৫ কোটি ৭৭ লাখ ২৫ হাজার ৫৩৯ টাকা আত্মসাৎ করেন। বিষয়টি নিবন্ধন অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা (আইআরও) নিপেন নাথ সিকদার পরিদর্শনের সময় ধরতে পেরে অভিযোগ করেন। পরে ঘটনাটি তদন্ত করে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, কুমিল্লার সহকারী পরিচালক এইচ এম আখতারুজ্জামান। তিনি ২০১৯ সালের ১০ ডিসেম্বর দুদকে (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) মামলা দায়ের করেন। মামলাটি এখনও তদন্ত পর্যায়ে রয়েছে।’এর আগে গত ৭ আগস্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া দায়রা জজ আদালতে তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। এরপর তিনি হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন। তার জামিন নিয়ে রুল জারি করেছিলেন আদালত।জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার মরিচাকান্দি ইউনিয়নের আতুয়াকান্দি গ্রামে ইয়াছিন মিয়ার বাড়ি। প্রায় ২৩ বছর আগে ইয়াছিন মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা সাবরেজিস্ট্রার অফিসে পিয়ন পদে চাকরিতে যোগ দেন। এরপর বিভিন্ন সময়ে আশুগঞ্জ ও নাসিরনগর উপজেলায় বদলি করা হলেও ঘুরেফিরে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় ফিরে আসেন। তিনি সাবরেজিস্ট্রি অফিসের নকল, তল্লাশি ও রেজিস্ট্রেশন ও চালানের ফি বাবদ আদায়কৃত সরকারি রাজস্ব অর্থ ব্যাংকে জমা না দিয়ে ৫ কোটি ৭৭ লাখ ২৫ হাজার ৫৩৯ টাকা আত্মসাৎ করেন।