সৈয়দপুর পৌরসভা জলাবদ্ধতা ও যানজটে নাকাল শহরের প্রাণকেন্দ্র, উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় কে হবে আগামী পৌর মেয়র?
মোতালেব হোসেন: সৈয়দপুর প্রথম শ্রেণীর পৌরসভায় পরিকল্পনাহীন নগরায়ন রাস্তার উপরে ড্রেন ও ফুটপাথ নির্মান, শহরের মধ্যখানে রেলের জমিতে পরিকল্পিতভাবে আগুন লাগিয়ে টিনশেড ঘর পুড়িয়ে এখন সেখানে ণির্মিত হয়েছে বহুতল ভবন এবং মার্কেট, যাদের কারোরই নেই কোন নকশা বা অনুমোদন বা সরকারী কোন লীজ। এই সমস্ত বহুতল ভনের ছাদের পানি পড়ে পথচারীর গায়ে এবং মার্কেটের সকল পয়নিস্কাশন নির্গমনের নাই কোন পরিকল্পিত ড্রেন। সামান্য বৃষ্টিতেই সৈয়দপুর শহরের ভিআইপি রোডগুলিতে ড্রেনের পানি এবং রাস্তার পানি সমান হয়ে হাটু অবধি চলে আসে।
ব্রিটিশ আমলে নির্মিত রেলের ব্যাকবোন ড্রেনগুলি সময়মতো রক্ষনাবেক্ষন না করায় সেগুলি প্রায় মৃত অনেক জায়গায় দেখা যায় পৌরসভা নিজেই ব্যবকবোন ড্রেন দখল করে অবৈধ মার্কেট নির্মান করেছেন। শহরে রেলের মূল রিজার্ভার, পুকুর এবং ডোবা ভরাট করে বাড়ি নির্মান, শহরের ঐতিহ্যবাহী শিঙ্গিপুকুর, মুন্সীপাড়ার জোড়া পুকুর, চিনা মসজিদ, মিস্ত্রিপাড়া, বাঁশবাড়ি, গোলাহাট এলাকায় কয়েকটি রেলের পুকুর দিব্যি ভরাট করে ভূমিদস্যুরা রীতিমতো প্লট আকারে বিক্রি করেছেন। হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। তারাই এখন গরীবের বন্ধু সেজে রাজনৈতিক দলের বড় বড় নেতায় পরিনত হয়েছেন। অদ্য ২৩ সেপ্টেম্বর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের নিজের বাড়ি ও এলাকার জলাবদ্ধতার ছবি পোষ্ট দিয়ে প্রতিকার চাচ্ছেন।
অনেকেই সেই পোষ্টে লাইক দিচ্ছেন আবার কেউ মেয়রকে গালি দিচ্ছেন। দীর্ঘ তিরিশ বছর পৌর পিতার দায়িত্বে আছেন বিএনপি দলীয় পৌরমেয়র আমজাদ হোসেন সরকার। গত কয়েকদিন যাবৎ শহরের ভিআইপি জিকরুল হক রোডের মধ্যখানে পুরো রাস্তা খুঁড়ে ড্রেন নির্মান কাজ চলছে কাজটি যথাসময়ে শেষ করলে দূর্ভোগ হয়তো কিছুটা কমতো। স্তানীয় এলজিইডি একজন প্রকৌশলীর সাথে এ ব্যাপারে কথা বললে তিনি বলেন পুরো রাস্তা একবারে না খুঁড়ে অর্ধেক অর্ধেক করে কাজটি করা যেত তাহলে জনদূর্ভোগ হতোনা।
এমনিতেই শহরে বাইপাস নাই তার উপরে ব্যবসায়ীদের রাস্তা দখল বসবাসের অযোগ্য এই নগরীতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাজার হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ থাকলেও সে টাকা কোথায় কোন উন্নয়নে এই পৌর মেয়র খরচ করেছেন সেটি মানুষের দৃষ্টি গোচর হচ্ছে না। সরকার এতো টাকা বরাদ্দ দিলেও পরিকল্পনাহীনতার কারণে আওয়ামীলীগের উন্নয়ন জনগণের নজরে আসছে না। এব্যাপারে শহর ঘুরে মেয়রের নিজ এলাকা পাটোয়ারী পাড়ায় গিয়ে দেখা যায় শহরের ভিআইপি এলাগুলিকে জলাবদ্ধতায় ফেলে সেখানকার জনবসতী শুন্য গ্রামের রাস্তাগুলিকে বানিয়েছেন মডেল রাস্তা। দিয়েছেন ষ্ট্রীট লাইট, মাষ্টার ড্রেন যা দেখে মনে হচ্ছে উনি পৌরবাসীকে কষ্ট দিয়ে আওয়ামীলীগ সরকারের ভাবমূর্তিকে ক্ষুন্ন করার জন্য এবং দলীয় হীন মনোভাব চরিতার্থ করেছেন। সামনে নির্বাচন তাই পৌর নাগরিকবাসী চায়ের দোকানে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আগামী পৌর মেয়র নির্বাচনে সরকার দলীয় প্রার্থীকে মেয়র হিসাবে চাচ্ছেন।