ফসলের সঙ্গে শক্রতা !

তানোর(রাজশাহী)প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোরে পুর্ববিরোধের জের ধরে আমণখেতে বিষ প্রয়োগ করে পুরো জমির ফসল পুড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। তানোরের পাঁচন্দর ইউপির প্রাণপুরপুর্বপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে। এদিকে এই ন্যাক্কারজনক ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার ও দৃস্টান্তমুলক শাস্তির দাবিতে গ্রামবাসি বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। এ ঘটনায় চলতি বছরের ২০ সেপ্টেম্বর রোববার রফিকুল ইসলাম দিগর বাদি হয়ে হাসিনা বেওয়া দিগরকে বিবাদী করে তানোর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। জানা গেছে, তানোরের পাঁচন্দর ইউপির ৮২ নম্বর প্রাণপুর মৌজায়, খতিয়ান নম্বর ৪০, দাগ নন্বর ৩৫১ জমির পরিমাণ ৩৪ শতক। ক্রয় সুত্রে ওই সম্পত্তির মালিক প্রাণপুর পুর্বপাড়া গ্রামের মৃত সেফাতুল্লাহর পুত্র হাজি মুন্জুর রহমান দিগর। তিনি চাঁপাইনবাবগন্জ সদর উপজেলার এনামুল হকের পুত্র আব্দুল মান্নানের কাছে থেকে উক্ত সম্পত্তি ক্রয় করে দীর্ঘদিন ধরে শান্তিপুর্ণভাবে ভোগদখল করে আসছেন। স্থানীয়রা জানান, সম্প্রতি প্রাণপুর গ্রামের মৃত হাজি মনির উদ্দিনের স্ত্রী হাসিনা বেওয়া বৈধ কোনো কাগজপত্র ছাড়াই তার ভাই আনোয়ার হোসেন ও দেলোয়ার হোসেনকে নিয়ে ওই সম্পত্তি নিজের দাবি করে জমির মধ্যে বাঁশের খুঁটি পুতে জবরদখল ও ফসল কেটে নেয়ার চেস্টা করে ব্যর্থ হয়। এঘটনায় তানোর থানায় একাধিকবার সালিশ বৈঠক হয় সেখানে হাসিনা বেওয়া তার পক্ষে বৈধ কোনো কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে। কিন্ত্ত তার পরেও তারা ক্ষান্ত হয়নি জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে ওই জমির ওপর আদালতে ১৪৪ ধারা মামলা করেন,তবে বৈধ কোনো কাগজপত্র না থাকায় সেই মামলাও টেকেনি। তবে হাসিনা বেওয়া দিগরের অপতৎপরতা থেমে নাই।এদিকে চলতি আমণ মৌসুমে হাজি মুন্জুর দিগর আতপ ধানের চারা রোপণ করেন। কিন্ত্ত গত ১৬ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার দিবাগত রাতে বিষ প্রয়োগ করে ওই জমির পুরো ধান পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। স্থানীয় গ্রামবাসী ও মুন্জুর দিগরের দাবি সম্পত্তি নিয়ে পুর্ববিরোধের জের ধরে হাসিনা বেওয়া তার ভাইদের দিয়ে এসব বিষ প্রয়োগ করে তাদের খেতের ফসল পুড়িয়ে দিয়েছেন। এতে তাদের প্রায় ৩০ হাজার টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। কারণ দীর্ঘদিন ধরে হাসিনা বেওয়া তার ভাই আনোয়ার ও দেলোয়ারকে নিয়ে জমির দখল নিতে নানা ষড়যন্ত্র ও অপতৎপরতা করে আসছে। এবিষয়ে তারা নিরপেক্ষ তদন্ত ও দোষীদের দৃস্টান্তমুলক শাস্তির দাবি করে সংশ্লিস্ট বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক গ্রামবাসী জানান, তারা শুধু এই জমি জবরদখলের চেস্টা করছে তা নয়, প্রাণপুর মসজিদের নামে দেয়া ৫ বিঘা জমি জবরদখল করেছে। তারা বলেন, প্রাণপুর গ্রামবাসী এবিষয়ে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাসিনা বেওয়া এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এবিষয়ে তানোর থানার দায়িত্বরত কর্মকর্তা এসআই স্বপন বলেন, অভিযোগ পাওয়া গেছে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *