সেপ্টেম্বরের শেষে আবার বন্যার আশঙ্কা

অপরাধ তথ্যচিত্র ডেক্স: ইতোমধ্যে বেশ কয়েক দফায় দেশের বিভিন্ন এলাকা বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। চার দফায় প্রায় অর্ধশত দিন বন্যা স্থায়ী ছিল। এখন বন্যার পানি কিছুটা নিম্নমুখী। তবে আবার সেপ্টেম্বর শেষে আরেকটি বন্যা হতে পারে। এমন এতথ্য জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, আগামী মাসে ভারতের আসাম, হিমালয় পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ ও উত্তর-পূর্ব ভারতে ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ার পূর্বাভাস রয়েছে। ফলে দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্ব ও মধ্যাঞ্চলে একইভাবে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এর আগে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান এক সংবাদ সম্মেলনে চলমান বন্যার ক্ষয়ক্ষতির হিসাব তুলে ধরে বলেন, আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক সামসুদ্দিন আহমেদ পূর্বাভাস দিয়েছেন এ বছরের সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে আরেকটি বন্যা হতে পারে। অক্টোবর-নভেম্বরের মধ্যে একটি ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা আছে। এবারের বন্যা ১৯৯৮ সালের বন্যার থেকে দীর্ঘস্থায়ী নয়, জানিয়ে ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৮ সালের বন্যা ছিল ৬৯ দিন, এবারের বন্যা ছিল ৪৬ দিন। আর ক্ষয়ক্ষতিও ১৯৯৮ সালের বন্যার চেয়ে কম। ’৯৮ সালে প্রায় ৫০ শতাংশ এলাকা প্লাবিত হয়েছিল। এবার আমাদের প্রায় ৩০ শতাংশ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বন্যায় খাদ্যশস্যের ঘাটতি হবে না জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকারি মজুত আছে ১৩ লাখ টনের ওপরে। ৮ লাখ টন থাকলে মনে করি নিরাপদ। আরো খাদ্য সংগ্রহের কাজ চলছে, এ মাসের মধ্যে ১৫ লাখ টনে পৌঁছে যাবে। বন্যা দীর্ঘায়িত হলে বরাদ্দ আরো বাড়বে কিনা, জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের যে বরাদ্দ আছে সেটা দিয়ে আমরা মোকাবিলা করতে পারব। এনামুর রহমান বলেন, এবার চার দফায় বন্যা হয়েছে। ২৬ জুন থেকে বন্যা শুরু হয়, এর পরে ১০ জুলাই দ্বিতীয় দফা এবং ১৯ জুলাই তৃতীয় দফা এবং চতুর্থ দফায় উপকূলীয় অঞ্চলে বরিশাল বিভাগের ছয়টি জেলা এবং সাতক্ষীরা জেলায় অতিরিক্ত জোয়ার, সমুদ্রের লঘুচাপ এবং উজানের পানির কারণে প্লাবিত হয়। আমরা সবগুলো বন্যা কবলিত এলাকার জনগণের জন্য পর্যাপ্ত খাদ্য সহায়তা দিয়েছি। মাঠ পর্যায়ের প্রশাসন এবং জনপ্রতিনিধিরা বিতরণ করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *