বড় বন্যার শঙ্কা, পানি বেড়েছে ৫৬ পয়েন্টে
অপরাধ তথ্যচিত্র ডেক্স: আগস্টের শেষে বড় ধরনের বন্যার কবলে পড়তে পারে বাংলাদেশ- এই পূর্বাভাস আগেই দেয়া হয়েছিল। ইতোমধ্যেই সেই আভাস মিলেছে।দেশের পর্যবেক্ষণাধীন ১০১টি পানি সমতল স্টেশনের মধ্যে ৫৬টি স্টেশনে নদ-নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে ৩৯টি স্টেশনে পানি হ্রাস পেয়েছে।
বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদফতরের গাণিতিক মডেলের তথ্য অনুযায়ী, ৬টি স্টেশনে অপরিবর্তিত রয়েছে, ৩টি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে, এবং ৩টি স্টেশনে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
ইতোমধ্যে কয়েক ধাপে দেশের বিভিন্ন এলাকা বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। নতুন করে নদ-নদীর পানি আবারো বাড়ায় দেশের কোথাও বাঁধ উপচে আবার কোথাও বাঁধ ভেঙে নতুন করে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।
ব্রহ্মপুত্র-যমুনা ও গঙ্গা-পদ্মা নদীসমূহের পানি সমতল স্থিতিশীল আছে যা আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আপার মেঘনা অববাহিকার প্রধান নদীসমূহের পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে যা আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
আগামী ২৪ ঘণ্টায় মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ী ও ফরিদপুর জেলার নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম এবং দক্ষিণ মধ্য উপকূলীয় অঞ্চলে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। এই সময়ে এসব অঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন স্থানে উল্লেখযোগ্য বৃষ্টিপাত হয়েছে যশোরে ৬৮ মিলিমিটার, চট্টগ্রামে ৬১ মিলিমিটার, সাতক্ষীরায় ৫৬ মিলিমিটার এবং নারায়ণহাটে ৫২ মিলিমিটার।
এর আগে আবহাওয়া অধিদফররের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ জানিয়েছিলেন, দেশের উত্তরাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলের বিদ্যমান বন্যা পরিস্থিতি ক্রমান্বয়ে উন্নতি হয়ে মাসের মধ্যভাগে স্বাভাবিক হয়ে আসতে পারে। মাসের শেষার্ধে মৌসুমী ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে স্বল্প মেয়াদী বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।