দামুড়হুদায় বিভিন্ন ব্যবসার সাথে বিক্রি করা হচ্ছে এলপি গ্যাস সিলিন্ডার:নেই বিস্ফোরক লাইন্সেস ও অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র॥

হাবিবুর রহমান,চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার বিভিন্ন দোকানে নয়ম-নীতি উপেক্ষা করে অবাধে বিক্রি হচ্ছে এলপি গ্যাস সিলিন্ডার। নিয়ম অনুযায়ী এলপি গ্যাস ব্যবহার, বিপণন ও বাজারজাত করতে হলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বা ব্যবসায়ীকে বিস্ফোরক অধিদফতরের লাইসেন্স ও অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র সংরক্ষণ বাধ্যতামূলক।এলপি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রয়ের ছোট বড় এসব দোকানে অধিকাংশ বিক্রেতার নেই কোনো বিস্ফোরক লাইসেন্স ও প্রতিষ্ঠানে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র।দামুড়হুদা উপজেলাসদর দর্শনা,কার্পাসডাঙ্গা,কুড়ালগাছি,লোকনাথপুরসহ বিভিন্ন হাটবাজারেপ্রায় শতাধিক ব্যবসায়ী অন্য ব্যবসার সাথে অবৈধ ভাবে এলপি গ্যাস বিক্রি করছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, আইনের তোয়াক্কা না করে ব্যবসায়ীরা দোকানে সামনে সড়কের ধারে সিলিন্ডার সাজিয়ে অবাধে তাদের ব্যবসা চালাচ্ছে। এছাড়াও অবৈধ ভাবে গুদামে গ্যাস সিলিন্ডার মজুত রেখেছে। হার্ডওয়ার, কোকারিজসহ বিভিন্ন ব্যবসার সাথে গ্যাস সিলি-ার বিক্রি করা হয়ে থাকে।এ সকল দাহ্যপদার্থ বিক্রয় প্রতিষ্ঠান গুলোতে প্রাথমিক ভাবে অগ্নিকা- থেকে রক্ষা পেতে নিজেশ্ব অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র থাকার নিয়ম থাকলে ও প্রধিকাংশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে নেই এই গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রটি।
দামুড়হুদা উপজেলা সদরের দামুড়হুদা কুকারিজ এর মালিক সিঠু হোসেন বলেন,দামুড়হুদা উপজেলা সদরের তার নিজের সহ ২/৩ জনের বিস্ফোরক লাইন্সেস আছে এছাড়াও ১০/১৫টি দোকানের কোন বৈধ কাগজ পত্র ছাড়াই এলপি গ্যাস বিক্রি করছে। এছাড়াও উজেলায় শতাধিক দোকানে বিভিন্ন ব্যবসার সাথে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করলেও হাতে গোনা কয়েকজন ছাড়া কারোর কোন বৈধ কাগজপত্র নেই। দামুড়হুদা বাজারের সৈকত এ্যালমোনিয়াম এর মালিক শরিফ উদ্দীন বলেন, আমার কোন লাইন্সেস নেই দর্শনা, জীবননগরের বিভিন্ন কোম্পানির ডিলারের নিকট অর্ডার দিলে তারা স্যালো ইঞ্জিন চালিত যান আলোমসাদু যোগে আমাদের ঘরে সিলিন্ডার পৌছে দেয় আমরা বিক্রি করি। কোথায় কীভাবে লাইন্সেস করতে হয় আমার জানা নেই। অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র আছে কিনা যানতে চাইলে সে বলেন এর প্রয়োজন হয়না।
দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মহিউদ্দীন বলেন, যত্রতত্র গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করা যাবে না। কয়েক দিন আগে অভিযান চালানো হয়েছে কয়েক টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে জরিমানা করা হয়েছে। এবং মৌখিক ভাবে সর্তক করা হয়েছে। আবারো অভিযান চালানো হবে কেই অবৈধ ভাবে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা ফাযার সার্ভিল ও সিভিল ডিফেন্স এর উপ-পরিচালক আব্দুস ছালাম জানান, সকল গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রয়ের দোকানে অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র রাখা বাধ্যতামুলক। গ্যস দ্যহ পদার্থ সিলিন্ডার বিক্রয়ের দোকান গুলোতে বিদ্যুৎতের শট শার্কিটসহ বিভিন্ন কারনে আগুন লাগতে পারে।তাই প্রাথমিক ভাবে নিজেদের মালামাল রক্ষার্থে শুধু গ্যাস সিলিন্ডার নয় প্রত্যেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেই নিজেতের সার্থে অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র রাখা উচিত। দুরের কোথাও আগুন লাগলে সেখানে পৌছাতে রাস্তা ঘাটে যানজট সহ বিভিন্ন কারনে আমাদের অনেক সময় দেরি হয়ে যায়। প্রতিষ্ঠানে অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র রাখলে প্রথমিক ভাবে ছোট খাটো দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *