সুন্দরগঞ্জে সংস্কারের তিন মাস না যেতেই রাস্তার বেহাল দশা

মোশাররফ হোসেন বুলু, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি: গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে রাস্তা সংস্কার কাজ শেষ হওয়ার তিন মাস না যেতেই বেহাল দশা বিরাজ করছে। উপজেলার বৈদ্যনাথ আর/এইচ/ডি হতে সোনারায় বাজার পর্যন্ত দুই হাজার ১৪৩ মিটার সড়কের বিভিন্ন স্থানে পিচ ঢালাই ফেটে চৌচির ও ছোট-বড় অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ডেবে গেছে সড়কের বিভিন্ন স্থান। ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট-বড় দূর্ঘটনা। রাস্তার এ কাজের স্থায়ীত্বকাল তিন বছর। সেখানে তিন মাস না যেতেই রাস্তার এমন দশায় এলাকাবাসির মনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাকেই দায়ী করছেন তারা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০১৯-২০ অর্থ বছরে জিওবি মেইনটেনেন্স প্রকল্পের অধীনে ওই রাস্তা সংস্কার করার দরপত্র আহবান করা হলে কাজের দায়িত্ব পান রংপুর জেলাধীন পীরগাছা উপজেলার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এস.এ ট্রেডার্স। দুই হাজার ১৪৩ মিটার সড়কের সংস্কার কাজ সম্পন্ন করতে প্রাপ্ত মুল্য ধরা হয়েছিল ২৯ লক্ষ ৩৯ হাজার ৩৩১ টাকার। সেখানে চুক্তি হয়েছিল ২৭ লক্ষ ৯২ হাজার ৩৬৫ টাকা। কিন্তু সংস্কার কাজ শেষ হওয়ার তিন মাস না যেতেই রাস্তা ফেটে চৌচির ও অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় কয়েকজন জানান, সড়কের গর্তগুলো খোয়া দিয়ে ভরাট করে পিচ ঢালাই করার কথা দরপত্রে ছিল। কিন্তু তারা সিলকোট করে রাস্তা সংস্কার করায় ফেটে চৌচির ও ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া সংস্কারের সময় খারাপ মানের বিটুমিন ও পাথর ব্যবহার করা হয়েছিল। এ নিয়ে তাদের সাথে একাধিকবার তর্ক করাও হয়েছিল। কিন্তু প্রভাবশালী ঠিকাদারের লোকজন আমাদের কথায় কান দেননি। সে কারণেই সড়কের আজ বেহাল অবস্থা। এতে সরকারের টাকাও খরচ দূর্ভোগও শেষ হয়নি। এব্যাপারে ঠিকাদার আঃ মোত্তালেব মিলন জানান, রাস্তায় জমে থাকা বৃষ্টির পানির উপর দিয়ে ওভার লোডের গাড়ি চলাচল করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। উপজেলা প্রকৌশলী আবুল মনছুর জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই তবে খোঁজ নিয়ে দেখছি। সত্যতা পাওয়া গেলে যত দ্রুত সম্ভব ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *