সরকারি গাড়ির যথেচ্ছ ব্যবহার
তানোর(রাজশাহী) প্রতিনিধি: নওগাঁ সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সরকারি গাড়ি ব্যবহারে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সরকারি গাড়ি, সরকারি জ্বালানী ও সরকারি চালক নিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান (বে-সরকারি) ব্যক্তিগত কাজ করেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, সংশ্লিস্ট বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতিত উপজেলা চেয়ারম্যান তার সরকারি গাড়ি উপজেলার বাইরে নিয়ে যেতে পারবেন না।কিন্ত্ত তিনি নীতিমালা লঙ্ঘন করে সরকারি গাড়ি, সরকারি জ্বালানি ও সরকারি চালক নিয়ে ব্যক্তিগত কাজ করে চলেছেন।এদিকে দায়িত্বশীল একজন জনপ্রতিনিধির এমন জনবিরোধী কর্মকান্ডের খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যর সৃস্টি হয়েছে উঠেছে সমালোচনার ঝড়। স্থানীয়রা জানান, নওগাঁ সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব রফিকুল ইসলাম রফিক চৌবাড়িয়া হাটের ইজারদার। তিনি তার সরকারি গাড়ী নিয়ে নিয়মিত প্রতি শুক্রবার ব্যাক্তিগত ব্যবসার কাজে মান্দা উপজেলার চৌবাড়িয়া হাটে আসেন এবং গাড়ী রাজশাহীর তানোর উপজেলার সীমানায় রাখেন যাতে মানুষ মনে করেন এটা তানোর উপজেলা চেয়ারম্যানের গাড়ী এমনকি কেউ জিজ্ঞেস করলে চালক বলেন এটা তানোর উপজেলা চেয়ারম্যানের গাড়ী। কয়েকজন গরুর ক্রেতা-বিক্রতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, চেয়ারম্যান সাহেব কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা করে না, গাড়িতো ছোট বিষয় হাটে টোল আদায়ের নামে রশিদ ছাড়াই প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি করছে, কেউ প্রতিবাদ বা একটু-সেদিক করলেই তাদের ওপর নেমে আসছে নির্যাতনের খড়গো।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চলতি বছরের ৩১ জুলাই শুক্রবার নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলার চৌবাড়িয়া হাটের তানোর সীমানার মালশিরায় সরকারি গাড়ি রেখে চেয়ারম্যান চৌবাড়িয়া পশুহাটে তার ব্যক্তিগত ব্যবসায়িক কার্য সম্পাদন করেন। গাড়ির বিষয়ে জানতে চাইলে গাড়ির চালক জানান, এটা তানোর উপজেলা চেয়ারম্যানের গাড়ি। এদিকে এদিন তানোর উপজেলা চেয়ারম্যান তার ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে গরু কিনতে চৌবাড়িয়া হাটে আসেন।
এ সময় নওগাঁ সদর উপজেলা চেয়ারম্যানের সরকারি গাড়ির যথেচ্ছ ব্যবহার ও মিথ্যাচার ফাঁস হয়ে পড়ে। অন্যদিকে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা নওগাঁ সদর উপজেলা চেয়ারম্যানের শাস্তির দাবি করেন।এব্যাপারে একাধিকবার যোগাযোগের চেস্টা করা হলেও নওগাঁ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও চৌবাড়িয়া হাট ইজারদার আলহাজ্ব রফিকুল ইসলাম রফিকের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।