শৈলকুপায় সাব – রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ের মুহুরী মোঃ নুর নবী ও তার সহকারী আজম এর প্রতারনা র শিকার অসংখ্য জমি ক্রেতা বিক্রেতা।
ঝিনাইদহ: শৈলকুপায় সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ের মুহুরী মোঃ নুর নবী ও তার সহকারী আজম এর প্রতারনার শিকার শতাধিক জমি ক্রেতা বিক্রেতা। ঘটনার বিবরণে জানা যায় যে, শৈলকুপায় সাব রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ের ৫২ নং নিবন্ধন ধারী মোঃ নুর- নবী দীর্ঘদিন যাবত উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মানুষের নিকট হতে জমি রেজিস্ট্রি করার নামে অগ্রিম টাকা নিয়ে হয়রানির অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। বাগুটিয়ার আদালত শেখের জমি রেজিস্ট্রি করার নামে ৪০ হাজার টাকা নিয়ে এখন ও দলিল দেখাতে পারছে না। শৈলকুপা খালধার পাড়ার আবুল হোসেন জোয়ার্দার তিনি এক বছর আগে ত্রিশ হাজার টাকা দিয়েছেন জমি রেজিস্ট্রি করার জন্য। সেই জমি ও আজ পর্যন্ত রেজিস্ট্রি করে দেয় নাই। দিনের পর দিন ঘোরাচ্ছে। শীতলী ডাঙ্গার মান্নান হান্নান এর ১৫ শতক জমি রেজিস্ট্রি করার জন্য ৫০ হাজার টাকা নিয়ে ছে ৬ মাস পূর্বে। কিন্তু আজকে কালকে করে, এ কাগজ নাই, সে কাগজ নাই এই করে একেরপর এক দিন দিয়ে আসছে। সহকারী আজম দালালি করে বিভিন্ন এলাকায় জমি রেজিস্ট্রি করার জন্য লোক গুছিয়ে নিয়ে আসে। আজম বলে এটা তার কাজ,আর মুহুরী বলেন আজমের কাজ। এইভাবে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা পয়সা আগাম নিয়ে দলিল রেজিস্ট্রি করে না দিয়ে প্রতারনা করছেন। দুলালপুর গ্রামের বাবলু ও বাবলুর ৯২ শতক জমি রেজিস্ট্রি করার নামে এক বছর ধরে ঘোরাচ্ছে। দুলালপুর গ্রামের অসহায় পরেশ, ঝন্টু কুমার এর জমি খোশ কবলা করার জন্য ৭৫ হাজার টাকা নিয়ে বায়না নামা করে দেয় । কিন্তু দলিল হাতে দেয় না । দেয় বছর পর অনেক চাপাচাপি র পর দলিল দিলে দেখা যায় যে বায়না নামা করতে এত টাকা লাগবে না। শেখপাড়ার তাহাজ উদ্দিন মন্ডল দুই বছর আগে নয় শতক জমি রেজিস্ট্রি করার জন্য রায় সাত শতাংশ জমি রেজিস্ট্রি করে দেয়, কিন্তু দলিল এখন ও দেখাতে পারে না, বলে যে ওটা হারিয়ে গেছে সার্টিফাইড কপি দেব। প্রতিদিন একাধিক ব্যাক্তি সারাদিন অপেক্ষায় থেকে খালি হাতে ফিরে যান। এরকম অসংখ্য মানুষ দের নুর নবী ও আজম মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে আসিতেছে। কয়েক বছর আগে এই জাতীয় কাজের জন্য সাময়িক ভাবে লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছ। দলিল লেখক সমিতির অন্যান্য মুহুরী রা বলেন যে, আমাদের কাছে কোন গ্রাহক আসলে আমরা দলিল রেজিস্ট্রি করার জন্য সঠিক খরচ জানাই, ওরা আমাদের চেয়ে অনেক কম খরচে করে দেওয়ার কথা বলে নিয়ে যায়। কিন্তু টাকা নিয়ে বিভিন্ন অজুহাতে গ্রাহকদের হয়রানির মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে ঘোরাতে থাকে। এরকম অনেক অভিযোগ আমাদের কাছে আসে। দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক বলেন যে, ও কে কয়েক দিন আগে এমন অভিযোগের জন্য সমিতি অফিসে নিয়ে বেঁধে রেখে গ্রাহকদের টাকা ফেরত দিয়ে দেওয়া হয়। আজ সোমবার আবার ও ভুক্তভোগীরা সারাদিন অপেক্ষায় থেকে দলিল রেজিস্ট্রি করতে না পেরে শৈলকুপা দলিল লেখক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দের নিকট বিচার চান। পরে দুই গ্রাহকদের ৯০ হাজার টাকা ফেরত দেয়ার মুচলেকা দিয়ে মটরসাইকেল জমা রাখা হয়।