বন্যায় ডুবছে সব, পানিতে ভাসছে সাপ
অপরাধ তথ্যচিত্র ডেক্স: অব্যাহতভাবে পদ্মার পানি বৃদ্ধির ফলে ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার চরাঞ্চলের পরিবারগুলো গত কয়েকদিন ধরে পানির মধ্যে ভাসছে। এরই মধ্যে পানিতে থাকা কচুরি পানার সঙ্গে ভেসে বেড়াচ্ছে বিভিন্ন জাতের বিষধর সাপ। এলাকায় বেড়েছে চোর- ডাকাতের আতঙ্ক। পানিবন্দি চরে গো খাদ্যের অভাব প্রকট আকার ধারণ করছে। শনিবার (৪ জুলাই) বন্যার পানি বিপদসীমার ৫০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এতে উপজেলার চরঝাউকান্দা ইউনিয়নের প্রায় সাড়ে ৩০০ বসত বাড়ী পানিতে ভাসছে। ইউনিয়নের চর কালকিনিপুর মৌজার ছাহের মোল্যার ডাঙ্গী গ্রাম, শহর মোল্যার ডাঙ্গী, রেজু চৌকদার ডাঙ্গী, উত্তর নবাবগঞ্জ ও চৌধুরী ডাঙ্গী গ্রামের প্রায় সবগুলো বসতি পরিবারের উঠান আঙিনা ও ঘরের মধ্যে পানিতে ছয়লাব হয়ে পড়েছে। বন্যা কবলিত পরিবারগুলো বাঁশের সাকো নির্মাণ করে এবং নৌকা বা ভেলা দিয়ে যাতায়াত করছে।
সরেজমিনে জানা যায়, উপজেলার চরঝাউকান্দা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ফরহাদ হোসেন মৃধা ব্যক্তিগত তহবিল থেকে বন্যা কবলিত বাড়িতে সামান্য ত্রাণ বিতরণ করছেন। এ বছর আগে বন্যা হওয়ায় আউশ ধান, তিল ও বাদাম পানিতে ডুবে গেছে। এছাড়া চরাঞ্চলে বন্যার পানি প্রতিরোধক কোনো বেড়িবাঁধ না থাকায় পাঁচটি গ্রামের সাড়ে ৩০০ পরিবার পদ্মা নদীর পানির সাথে একাকার হয়ে চরম ঝুঁকিতে রয়েছে।
এ সময় বন্যা কবলিত হিরন শেখ জানান, চরের সবগুলো কাচা রাস্তা, মসজিদ মাদ্রাসা মেঠোপথ ও বসতবাড়ী পানিতে ভেসে যাওয়ার ফলে বাড়ছে সাপের উপদ্রব বেড়েছে। পানিবন্দি এলাকায় চোর-ডাকাতের শঙ্কা নিয়ে রাত কাটাচ্ছে বন্যা দুর্গতরা।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জেসমিন সুলতানা বলেন, ইতিমধ্যে বন্যাদুর্গত পরিবারগুলোর মধ্যে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছি। আগামীকাল থেকে ত্রাণ বিতরণ শুরু হবে। আর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. এমদাদুল হক জানান, দুর্গত পরিবারগুলোকে সরকারিভাবে সাহায্য সহযোগিতার চেষ্টা চলছে।