স্বাস্থ্যের দুর্নীতির সব তথ্য জানতে পারবে জনগণ: দুদক

অপরাধ তথ্যচিত্র ডেক্স: কারোনা ভাইরাসে মোকাবেলায় মাস্কসহ বিভিন্ন চিকিৎসা সরঞ্জাম নিয়ে দুর্নীতি-অনিয়ম এখন আলোচনার অন্যতম ইস্যু। দেশে কয়েকদিন ধরে চলা এই ইস্যুতে মুখলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।
স্বাস্থ্যের বিভাগের সব দুর্নীতির সব তথ্য জানতে পারবে জনগণ জানি সংস্থাটির চেয়ারম্যান বলেছেন, ‘কোভিড-১৯ এর চিকিৎসা সামগ্রী ক্রয়ে দুর্নীতির অভিযোগ এসেছে। কমিশন অভিযোগটি আমলে নিয়ে অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছে। এই অনুসন্ধানটি হতে হবে নির্মোহ ও পূর্ণাঙ্গ। মানুষকে সবকিছু জানাতে হবে। দুদক কোনো কিছুই গোপন করে না, করবেও না।’শুক্রবার (২৬ জুন) এক বিবৃতিতে একথা জানান দুদক চেয়ারম্যান। সংস্থাটির পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য স্বাক্ষরিত ওই বিবৃতিটি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়।দুদক চেয়ারম্যান ২০১৭ সালেই স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতি প্রতিরোধে প্রাতিষ্ঠানিক টিম গঠনের কথা তুলে ধরে বলেন, ‘২০১৯ সালের শুরুতে স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতির ১১টি উৎস ও তা নিয়ন্ত্রণে ২৫ দফা সুনির্দিষ্ট সুপারিশ সংবলিত কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত একটি প্রতিবেদন দুদক কমিশনার ড. মো. মোজাম্মেল হক খান স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও সচিবের কাছে হস্তান্তর করেন। পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদনটি বাস্তবায়ন করা গেলে হয়তো স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতির লাগাম কিছুটা হলেও টেনে ধরা সম্ভব হতো।’
স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতির বিরুদ্ধে শূন্য সহিষ্ণুতার নীতি অনুসরণ করা হচ্ছে জানিয়ে ইকবাল মাহমুদ বলেন, ‘সরকারের সামাজিক নিরাপত্তামূলক কর্মসূচির দুর্নীতি, স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতি, সরকারি খাদ্য গুদাম থেকে খাদ্য সামগ্রী আত্মসাৎ ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনসহ বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে কমিশন একটি বিশেষ প্রতিবেদন করেছে।’
তিনি বলেন, ‘ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- কমিশনের অনুমোদনক্রমে বিগত তিন মাসে ত্রাণ দুর্নীতি, সরকারি খাদ্য গুদামের খাদ্য-সামগ্রী আত্মসাৎ, অবৈধভাবে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনসহ বিভিন্ন অভিযোগে ২৩টি মামলা দায়ের করেছে কমিশন। প্রতিটি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাও নিয়োগ করা হয়েছে।’
22কবাল মাহমুদ আরও বলেন, ‘স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে কোভিড-১৯ এর চিকিৎসায় নিম্ন মানের মাস্ক, পিপিই ও অন্যান্য সরঞ্জামাদি ক্রয়সহ বিভিন্ন হাসপাতালে সরবরাহের নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ দ্রুততার সঙ্গে অনুসন্ধান করা হচ্ছে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *