করোনার ভুয়া রিপোর্ট: জেকেজির সব অনুমোদন বাতিল
অপরাধ তথ্যচিত্র ডেক্স: করোনা ভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার জন্য জেকেজি হেলথকেয়ারকে দেয়া নমুনা সংগ্রহ, বুথ স্থাপন ও প্রশিক্ষণের সব অনুমতি বাতিল করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।nবুধবার (২৪ জুন) স্বাস্থ্য অধিদফতরের একাধিক সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।nএর আগে, দেশে নভেল করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) প্রাদুর্ভাবের পর নমুনা পরীক্ষার সুবিধার্থে জেকেজি হেলথকেয়ারকে অনুমতি দেওয়া হয় বুথ স্থাপনের। রোগীর নমুনা সংগ্রহের অনুমতিসহ তাদের কর্মীদের প্রশিক্ষণের জন্যেও অনুমতি পায় সংস্থাটি।
এর জন্য যা যা প্রয়োজন তার সবই সরবরাহ করা হতো সরকারিভাবে। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি এই সুবিধা নিয়ে বাসায় গিয়ে অবৈধভাবে নমুনা সংগ্রহ করতো, যার কোনো অনুমতি ছিল না। আবার বাসা থেকে সংগ্রহ করা নমুনার ফলাফল দেওয়ার ক্ষেত্রেও মানা হতো না সরকারি নিয়ম। আর এভাবে প্রতিষ্ঠানটি হাতিয়ে নিয়েছে বিশাল অংকের টাকা।
এদিকে, গতকাল মঙ্গলবার (২৩ জুন) প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী হুমায়ন কবীর (৩৪), কর্মচারী তানজিনা ও আরিফুল চৌধুরীসহ পাঁচজন কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করা হয়। আর বুধবার জেকেজি হেলথকেয়ারকে দেওয়া নমুনা সংগ্রহ, বুথ স্থাপন ও প্রশিক্ষণের সব অনুমতি বাতিল করল স্বাস্থ্য অধিদফতর। পুলিশ জানায়, গ্রেফতারকৃতরা করোনার উপসর্গ থাকা রোগীদের বাসায় গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার ফলাফল জানিয়ে দেয়। তবে নমুনা সংগ্রহ করার পর তা আর পরীক্ষা করা হয় না। তাদের নেই কোন ল্যাব। কম্পিউটারে ফলাফল লিখে ই-মেইলে তা রোগীর কাছে পাঠিয়ে দেয়। এভাবেই ইতোমধ্যে ৩৭ জনের ভুয়া কোভিড-১৯ টেস্ট রিপোর্ট জানিয়ে দেয় তারা। নমুনা সংগ্রহের সময় রোগীর বাহ্যিক উপসর্গ দেখে একটা ধারণা থেকে ফলাফল তৈরি করে। করোনার বাহ্যিক উপসর্গ দেখা দিলে, সেক্ষেত্রে তার পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ উল্লেখ করে। কোনো উপসর্গ না দেখা দিলে তার রিপোর্টে নেগেটিভ উল্লেখ করা হয়।