সাপাহারে অবৈধ ভাবে জমি দখল করতে না পারায় ওসিকে থানা জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকি
গোলাপ খন্দকার সাপাহার (নওগাঁ) প্রতিনিধি: নওগাঁর সাপাহার থানা জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকীদাতা কতিথ নারী সন্ত্রাসী তৈবাতুন নেসা মিনিকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার নিশ্চিন্তপুর মোড়ের বাসা হতে ওই ভুমি দস্যু নারী সন্ত্রাসী মিনি কে পুলিশ গ্রেফতার করে।
ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, উপজেলার মিরাপাড়া দীঘির হাট এলাকার মৃত মহসিন আলীর ছেলে জৈনক মোকাদ্দেস আলী মিরা পাড়া মৌজায় প্রায় ৩ একর সম্পত্তি ক্রয় করে দীর্ঘ ৪৩বছর ধরে ভোগদখল করে আসছিল। সম্প্রতি পার্শ্ববর্তী আদলপুর গ্রামের মৃতঃ আব্দুল খালেক এর ছেলে রিয়াজ উদ্দীন আমম্মেদ উক্ত সম্পত্তির মধ্যে হতে ৪১শতাংশ জমি নিজের দাবি করে একাধীকবার জমি জবর দখলের পায়তারা করে আসছিল অনেকবার স্থানীয় ভাবে বসা হলে তারা সঠিক কাগজপত্র হাজির করতে পারে না। ভাড়াটিয়া বাহিনীর সহযোগিতা নিয়ে জোরপূর্বক ভুমিদস্যু মিরা পাড়া গ্রামের আকলিমা খাতুন (৫২) ওরফে (গলাকাটি) ও নিশ্চিন্তপুর মোড়ে বসবাসরত তৈবাতুন নেসা (৫০) মিনিকে ভাড়াটিয়া হিসেবে নিযুক্ত করে ওই জমি জবর দখলের জোর চেষ্টা চালাতে থাকে। এমনকি এক পর্যায়ে গত বৃস্পতিবার রিয়াজ তার অন্যান্য সহযোগী ও নারী সন্ত্রাসী বাহিনীর সহযোগীতায় ওই জমির উপর একটি টিনের বেড়া দিয়ে অস্থায়ী ঘর তৈরী করে সেখানে অবস্থান করে।
এসময় ওই সম্পত্তির মালিক মোকাদ্দেস আলী ও তার আতœীয়-স্বজনরা সেখানে গিয়ে তাদের বাধা দিলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। সংবাদ পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়ে জমি জবরদখলকারী রিয়াজ (৫৫)ও তার ছেলে আসাদুল (২৪) কে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এ দিকে দখলদার পিতা পুত্রকে থানায় ধরে নিয়ে আসায় কতিথ ভাড়াটিয়া নারী মিনি থানার সরকারী মোবাইলে কল দিয়ে সাপাহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল হাইকে হুমকি প্রদান করে বলে “ ভাই- আমার রিয়াজ ভাই ও তার ছেলেকে ধরে নিয়ে গেলো, এদেরকে আপনি চালান দিবেন না। ওদেরকে চালান দিলে কিন্তু আমি থানায় আগুন লাগিয়ে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দিবো’’। এ কথা শোনার পর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল হাই পুলিশের একটি টিম পাঠিয়ে হুমকিদাতা কতিথ নারী সন্ত্রাসী তৈয়বাতুন নেছা মিনি কে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। দখলদার বাহিনীর অন্যতম সদস্য নারী সন্ত্রাসী তৈবাতুন নেসা মিনিকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠায়। এসময় দখলদার বাহিনীর অন্যতম নারী সদস্য কতিথ গলাকাটি আকলিমা পুলিশের উপস্থিততি টের পেয়ে পালিয়ে যায়।
এবিষয়ে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে সাপাহার থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আব্দুল হাই জানান, সৃষ্ট ঘটনাটি খতিয়ে দেখতে ও অবৈধ ভুমি দখলদার সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সাপাহার সার্কেল বিনয় কুমার ও আমি ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছি এবং উল্লেখিত ঘটনায় অজ্ঞাত নামা সহ ২১জনকে আসামী করে থানায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের হয়েছে। তবে জমিটা দখল করে দিতে পারলে ২ শতাংশ জমি সেই নারী দখলদার বাহিনীদের দিবে তাই তারা সেই লোভ সামলাতে না পেরে এই দখল কাজটি করতে পারে।