কয়রায় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্থদের ত্রাণের টাকা আত্মসাৎ করেছেন বেসরকারি সংস্থা উত্তরনের ম্যানেজার
কয়রা প্রতিনিধি: কয়রায় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্থ হতদরিদ্র পরিবারে ত্রানের টাকা বিতরণ করে রাতে বাড়ী বাড়ী গিয়ে সেই টাকা ফেরত নিয়ে আত্মসাৎ করলেন বেসরকারি সংস্থা উত্তরণের ম্যনেজার ও তার সহযোগিরা। বিষয়টি উত্তরণ কতৃপক্ষ জানার পর তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন বলে সংস্থার পরিচালক নিশ্চিত করেছেন। এদিকে ত্রাণের লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাতের ঘটনাটি জানাজানি হলে সমগ্র কয়রায় প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। এছাড়া তালিকা প্রস্তুত করতে ব্যাপক অনিয়ম করেছেন বলে ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বরগণ অভিযোগ তুলেছেন।খবর নিয়ে জানা গেছে বেসরকারি সংস্থা উত্তরণ ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারে ত্রাণ বিতরণের জন্য উপজেলার দক্ষিণ বেদকাশি, মহারাজপুর ও কয়রা সদর ইউনিয়নে ৭৫০ পরিবারের তালিকা প্রস্তুত করে এবং প্রতিটি পরিবারে নগত ৩ হাজার টাকা সহ একটি কিট বক্স বিতরণের কথা বলেন। স্থানীয় উত্তরনের ম্যানেজার মাসুদ আহসান জানান, গত ১৪/১৫ তারিখ কয়রা সদর ও ১৬/১৭ তারিখ মহারাজপুর ইউনিয়নে ৪৮৬ পরিবারে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নে বৃহস্পতিবার ত্রাণ বিতরনের কথা থাকলেও হেড অফিস বন্ধ করে দিয়েছে। সূত্র জানায় মঙ্গলবার মহারাজপুর ইউনিয়নের কালনা, মহারাজপুর, দশালিয়া, মঠবাড়ী, আটরা, শ্রীরামপুর সহ একাধিক গ্রামে ২৫০ পরিবারে ৩ হাজার টাকা ও একটি করে কিট বক্স বিতরণ করা হয়। সরেজমিনে জানা গেছে, ম্যানেজার মাসুদ ও তার সহযোগি বাসার মঙ্গলবার রাতে বাড়ী বাড়ী গিয়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে ৩ হাজার টাকা ফেরত নিয়েছেন এবং আগামীতে ১২ হাজার টাকা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত হতে বুধবার কালনা গ্রামে সালেহা খাতুন স্বামী সুরাত মোড়ল, নুরজাহান স্বামী মৃত সাহেব আলী, আসমা স্বামী আলাউদ্দিন, মহারাজপুর গ্রামের রুবেল পিতা জামাল গাজী, জামাল গাজী পিতা জয়নুদ্দীন গাজী সহ প্রায় ২০ টি পরিবারে খবর নিয়ে জানা গেছে বিকেলে টাকা দিয়ে সন্ধার পর ৩ হাজার টাকা ফেরত নিয়ে ম্যানেজার মাসুদ ও বাসার বলেন, এই টাকা ফেরত দিলে কিছুদিন পর ১২ হাজার পাবা। এ সম্পার্কে ম্যানেজার মাসুদের সাথে কথা বললে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি এর সাথে জড়িত নই। তবে বাসার ও আরো কয়েকজন এমন কাজ করেছেন বলে শুনেছেন এবং তদন্ত শুরু হয়েছে। এবিষয় উত্তরনের সহকারি সমন্বয়কারি (প্রশাসন) শম্ভু চৌধুরি জানান, বুধবার এ ধরনের অভিযোগ জানার পর ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কয়রা সদর ইউপি চেয়ারম্যান সাংবাদিক হুমায়ুন কবির জানান, তার ইউনিয়নে ব্যাপক অনিয়ম, দূর্নীতি করেছে উত্তরনের ম্যানেজার মাসুদ। এছাড়া তারা নিজেরাই তালিকা করে একই পরিবারে স্বামী, স্ত্রী, সহ সন্তানদের ও নামে তালিকা করে ত্রাণ দিয়েছেন।