বাজেট পাসের আগেই কলচার্জ বৃদ্ধি, চরম ক্ষুব্ধ বিটিআরসি
অপরাধ তথ্যচিত্র ডেক্স: গত বছরের মতো এবারের ২০২০–২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে বাড়ানো হয়েছে মোবাইল সেবার ওপর কর। কিন্তু প্রস্তাবিত এই বাজেট পাস হওয়ার আগেই কলচার্জ বাড়িয়ে দিয়েছে কোম্পানিগুলো।
কোম্পানিগুলোর এমন আচরণে ক্ষুব্ধ বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন-বিটিআরসি।মোবাইলের কথা বলা ও ইন্টারনেটে বাড়তি শুল্ক আরোপ করার কারণ জানতে চেয়ে মোবাইল অপারেটরদের কড়া ভাষায় ই-মেইল পাঠিয়েছে সংস্থাটি।
চিঠিতে বিটিআরসি জানিয়েছে, বাজেটে যে সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো হয়েছে, তা ইতিমধ্যেই আরোপ করা শুরু করেছে অপারেটরেরা। বিষয়টি বিটিআরসির নজরে এসেছে। এটা প্রমাণিত হলে নজিরবিহীন কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শাস্তি হিসেবে অপারেটরদের সব ধরনের অনাপত্তিপত্র (এনওসি) দেয়া বন্ধ করাসহ সব সেবা ও ট্যারিফ অনুমোদন বন্ধ করে দেয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
শনিবার (১৩ জুন) বিটিআরসির জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ ফারহান আলম অপারেটরগুলোকে এ ই-মেইল পাঠিয়েছেন। এতে বাজেটে মোবাইল সেবার ওপর যে সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো হয়েছে, তা ১ জুলাই থেকে কার্যকর হওয়ার কথা বলা হয়েছে।
অবশ্য জাতীয় সংসদে যেদিন বাজেট ঘোষণা হয়, সেদিন থেকেই নতুন শুল্ক কার্যকর হয়। অর্থবিলের ৮৮ পাতায় কোন কোন দফা অবিলম্বে কার্যকর হবে, তা উল্লেখ করে দেওয়া হয়েছে। এর আওতায় ৮০ নম্বর দফাও আছে। এই দফার অন্তর্ভুক্ত মোবাইল সেবা।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (১১ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২০–২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল। বাজেটে এবার সম্পূরক শুল্ক ৫ শতাংশ বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে, যা গত বছরও একই হারে বাড়ানো হয়েছিল।
নতুন করহারে মোবাইল সেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর (মূসক বা ভ্যাট) ১৫ শতাংশ, সম্পূরক শুল্ক ১৫ শতাংশ ও সারচার্জ ১ শতাংশ। ফলে মোট করভার দাঁড়িয়েছে ৩৩ দশমিক ৫৭ শতাংশ।
এর মানে হলো, প্রতি ১০০ টাকা রিচার্জে সরকারের কাছে কর হিসেবে যাবে ২৫ টাকার কিছু বেশি, আর মানুষ সেবা পাবে ৭৫ টাকার। এতদিন তা ২২ টাকার মতো ছিল। বিশ্লেষকেরা এবং কোম্পানিগুলো বলে আসছিল, মোবাইল সেবায় কর বাড়ানোর ফলে সাধারণ মানুষ চাপে বেশি পড়বে।