রমজান ও করোনা মহামারিতে ঝিনাইদহের ডালিয়া ফার্মে প্রতিদিন ফ্রি দুধ বিতরন, এলাকাবাসির সাধুবাদ
জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ: মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য শ্লোগানে ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় মহারাজপুর ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামের টেংরা মন্ডলের ছেলে নুর আলি মিয়া রমজানে গত ১৫ দিন ধরে গ্রামের ৯০টি পরিবারের মাঝে ৪০ থেকে ৫০ লিটার দুধ ফ্রী প্রদান কওে আসছেন। এবিষয়ে নুর আলি সাংবাদিকদের জানান আমি খুব সাধারন একজন মানুষ, মহামারি করোনার প্রভাবে আমি আমার গ্রামের ৮০ থেকে ৯০টি পরিবারের মাঝে ফ্রী দুধ প্রধান করছি। আসলে এই দেশের এই মহা বিপদে আমার ডালিয়া ডেইরি নামে ছোট্ট খামার থেকে দুধ প্রধানের মাধ্যমে গ্রামের অসহায়দের সামান্য সহযোগিতা করছি মাত্র। আমি ব্যক্তিগত ভাবে বলতে চাই আসলে বেঁচে থাকলে অনেক কিছুই হয়তো পাবো জীবনে। আমার পক্ষ থেকে এই সামান্য দুধ মানুষের ভিতরে বিতরন করতে পেরে নিজেকে একটু ভাগ্যবান মনে করছি। আমি সব সময় গ্রামের অসহায় মানুষের পাশে থাকতে চাই কারন আমার পরিবারও খুব অভাবের মধ্যে বিরাজমান। ১০ বছর আগে ১টা গরু দিয়ে আমার ছোট্ট খামার শুরু করি। এখন আমার খামের ১৫টি গরু ও ৪০টি ভেড়া আছে। গ্রাম জুড়ে প্রতিদিন আধা কেজি হিসাবে ৫০ লিটার দুধ ফ্রী বিতরনের বিষয়ে মহারাজপুর ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামের মেম্বর আতিয়ার রহমান সাংবাদিকদের জানায় নুর আলি প্রকৃত একজন আওয়ামিলীগ কর্মী। সে মোতাবেক কখনো পাইনি সরকারি-বেসরকারি কোন প্রকার সুযোগ সুবিধা। প্রচন্ড অভাবের কারনে নুর আলির একমাত্র শিক্ষিত ছেলে শাওনের চাকরি হয়নি। সরকাল যেন নুর আলীর পরিবারের প্রতি সদয় হতে আহবান জানান তিনি। এ বিষয়ে নুর আলির সন্তান শাওন বলেন দেশের এই ক্লান্তিকালে আমাদের পরিবার সামান্য দুধ প্রদান করতে পেরে সত্তিই ভাল লাগছে। সেই সাথে আমার বাবা এবং আমাদের পরিবার সবসময় আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী মানুষের পাশে থাকতে চেষ্টা করব। তিনি ভারাক্রান্ত হৃদয়ে সাংবাদিকদের বলেন যদি সরকারি ভাবে আমরা কোন প্রকার লোন বা সাহায্য সহযোগিতা পেতাম তাহলে আমাদের গরুর ফার্মটা অনেক বড় করতে পারতাম। তাহলে আমাদের ডালিয়া ডেইরি খামারে বেশ কয়েকজন ব্যক্তির কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হতো। কৃষ্ণপুর গ্রামের নুর আলি মিয়ার এই মহৎ উদ্যোগকে এলাকার বিভিন্ন ব্যাক্তি, প্রতিষ্ঠান, মহল, শ্রেনী ও গোষ্ঠি সাধুবাদ জানিয়েছেন।