ঈদের পরই সব ‘ভুয়া’ অনলাইন পোর্টালের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা: তথ্যমন্ত্রী
অপরাধ তথ্যচিত্র ডেক্স: ঈদের পরপরই গুজব রটনাকারী ভুয়া অনলাইন পোর্টালগুলোর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। নানা গুজবের বিরুদ্ধে মূলধারার সাংবাদিকরা বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখছে উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, ‘অনলাইন নিউজপোর্টালের রেজিস্ট্রেশন নিয়ে তথ্য মন্ত্রণালয় যে কাজ শুরু করেছিল, তাও দ্রুততার সাথে করা হবে।’ করোনার সংকটকালে সাংবাদিকরা সম্মুখযোদ্ধা এবং সারা দেশে ছুটি চললেও সাংবাদিকদের কোনও ছুটি নেই উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাংবাদিকদের সাথে রয়েছে, সবসময় ছিলো এবং থাকবে।’ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে করোনায় সংকটে পড়া সাংবাদিকদের এককালীন জনপ্রতি ১০ হাজার টাকা করে দেবার তথ্য মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের কথা তুলে ধরে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এটি ঈদের পর শুরু হবে এবং এ সহায়তা কারা পাবেন, সাংবাদিক ইউনিয়নই তা ঠিক করবে।’ শুক্রবার (২২ মে) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটির কক্ষে সাংবাদিকদের মাঝে করোনা প্রতিরোধসামগ্রী বিতরণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন। তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণেই সুপার সাইক্লোন আম্পানেও দেশে ‘ক্ষয়ক্ষতি সীমিত’ রাখা সম্ভব হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘যখনই দেশে কোনও দুর্যোগ আসে জননেত্রী শেখ হাসিনা নির্ঘুম রাত কাটান। আম্পানের ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। সারারাত তিনি মনিটরিং করেছেন এবং তাঁর বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণেই ক্ষয়ক্ষতি সীমিত রাখা সম্ভব হয়েছে। এর আগেও তিনি যেভাবে সবাইকে নিয়ে দুর্যোগ মোকাবিলা করেছেন, তা পৃথিবীর সামনে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশকে এক অনন্য উদাহরণে পরিণত করেছে।’
‘অপরদিকে ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ে বিএনপির শুধু সিদ্ধান্তের অভাবে এক ডজন যুদ্ধবিমান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, যেগুলো ঝড়ের আগে উড়িয়ে ঢাকা বা যশোরে আনলেই রক্ষা পেতো’- উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘সেইসাথে অনেকগুলো জাহাজ শুধু আরও উজানে নোঙর না করার কারণে নোঙর ছিঁড়ে ডাঙায় উঠে এসেছিল। আর অগণিত মানুষের মৃত্যুর পর সংসদে দাঁড়িয়ে বেগম খালেদা জিয়া বলেছিলেন- ‘যত মানুষ মারা যাওয়ার কথা, তত প্রাণহানি হয়নি’।’
দলের অন্যতম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাসিম, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল, বিএফইউজে’র সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদ সভায় বক্তব্য রাখেন।
আওয়ামী লীগের অন্যতম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাসিম তার বক্তব্যে বলেন, ‘অনেক গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান সাংবাদিকদের বেতন দিতে কার্পণ্য করে, এটা ঠিক নয়।’
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সহ-সভাপতি নজরুল কবীর, সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ চৌধুরী, দৈনিক বর্তমানের প্রধান প্রতিবেদক মোতাহার হোসেন প্রমুখ এসময় উপস্থিত ছিলেন।