ট্রাক উল্টে দাদা-নাতিসহ ১৩ জনের মৃত্যু

অপরাধ তথ্যচিত্র ডেক্স: মহামারী করোনা ভাইরাসের সংক্রমন ঠেকাতে সারাদেশে প্রায় দুমাস ধরে গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। ফলে প্রতিদিনই উত্তরাঞ্চলের খেটে খাওয়া বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষগুলো গোপনে বিভিন্নভাবে পণ্যবাহী পরিবহনে সরকারি নির্দেশ অমান্য করে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছে। তবে বাড়িতে গিয়ে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করা হলো না নিহত দুই শিশু সহ তেরজন মানুষের। মৃত এই মানুষগুলোর মধ্য দাদা নাতি সহ দুই যুবকের পরিচয় পাওয়া গেছে। বাকিদের নাম পরিচয় জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।

গাইবান্ধা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক আমিরুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার (২১ মে) বেলা এগারোটার দিকে ঢাকা -রংপুর মহাসড়কের গাইবান্ধার পলাশবাড়ীর দুবলাগাড়ী এলাকায় রাস্তার পাশে খাদে ট্রাক উল্টে থাকার খবর পেয়ে টিম সহ ঘটনাস্থলে যাই। ট্রাক উদ্ধারের পর রডের নিচ থেকে আট বছরের দুই শিশু, নয় যুবক ও দুইজন বয়স্ক মানুষের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।

গোবিন্দগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী জানান, সরকারি নির্দেশ অমান্য করে লকডাউন চলাকালে গোপনে একটি রড বোঝাই ট্রাকের উপরে ত্রিপল দিয়ে ঢেকে এই মৃত মানুষগুলোকে রংপুরের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিলো।

পথে পলাশবাড়ীর দুবলাগাড়ী এলাকায় ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে বৃষ্টির মধ্য নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে খাদে পড়ে যায় ট্রাকটি। পরে কোমড় পযর্ন্ত পানিতে পড়ে থাকা রডের নিচে থেকে দুই শিশুসহ তেরজনের মৃত দেহ উদ্ধার করা হয়। তাদের মধ্য চারজনের নাম পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে।

তারা হলেন, পলাশবাড়ী উপজেলার ছোট ভগবানপুর গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে মহশিন আলী (২৫), কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলার পরপুড়া গ্রামের মহিউদ্দিনের ছেলে মিজানুর রহমান (২৭), রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার ধারাকান্দা গ্রামের মৃত আব্দুস সামাদের ছেলে সামছুল আলম (৬৫) এবং একই এলাকার সুমন মিয়ার ছেলে সোয়াইব (৭)। তারা দুজন সম্পর্কে দাদা নাতি। বাকিদের নাম পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে বলেও জানান ওসি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *