গাছচুরি ধাঁমাচাঁপার চেস্টা
তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি: রাজশাহী র বাগমারা উপজেলার সোনাডাঙ্গা ইউপির উত্তর জামালপুর গ্রামের সংঘবদ্ধ একটি গাছ চোরের দল রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থেকে দীর্ঘদিন ধরে এলাকার বিভিন্ন সরকারী রাস্তার গাছ চুরি করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। কিন্ত্ত রহস্যজনক কারণে সংশ্লিস্ট বিভাগ এদের বিরুদ্ধে কোনো আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ না করে উল্টো এসব ঘটনা ধামাচাঁপা দিয়ে ভিন্নখাতে প্রভাবিত করছে বলেও এলাকায় গুঞ্জন বইছে। স্থানীয়রা জানান, উপজেলার সোনাডাঙ্গা ইউপির উত্তর জামালপুর গ্রামের মৃত মেহের আলীর পুত্র বেলাল, মৃত আব্বাস আলীর পুত্র আবুল কালাম আজাদ, আব্দুল করিমের পুত্র সিরাজুল ইসলাম, মৃত নিলচাঁদের পুত্র আব্দুল ছাত্তার ও আব্দুল ছাত্তারের পুত্র হাবিব সংঘবদ্ধ হয়ে এক সপ্তাহ আগে জোতবাজার- ভবানীগন্জ বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমিডএ) রোপিত বিভিন্ন প্রজাতির মাঝারী- বড় সাইজের ৫টি তাজা গাছ চুরি করে কাটার সময় এলাকাবাসীর কাছে হাতেনাতে ধরা পড়ে।
এদিকে স্থানীয়রা এসব চোরাই গাছ জব্দ করে বিএমডিএ কর্তৃপক্ষকে অবগত করেন। কিন্ত্ত রহস্যজনক কারণে বিএমডিএ কর্তৃপক্ষ এসব গাছ চোরের বিরুদ্ধে থানায় মামলা না করে জব্দ করা গাছ গ্রামবাসির জিম্মায় রেখে গোপণে আপোষ-মিমাংসার চেস্টা করে ব্যর্থ হয়। কিন্ত্ত এসব চোরের বিরুদ্ধে মামলা না দিয়ে তাদের বাঁচাতে বিভিন্ন কৌশলে কালক্ষেপন করে ঘটনা ধাঁমাচাঁপা দিয়ে ভিন্নখাতে প্রভাবিত করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। এমনকি উল্টো জিম্মাদারকেই আসামি করার অপতৎপরতা চলছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। এদিকে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসির মধ্য চরম অসন্তোষের সৃস্টি হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক গ্রামবাসী বলেন, বিএমডিএর সহকারী প্রকৌশলী মামলা না করে আপোষ-মিমাংসার জন্য চাপ দিচ্ছে, নইলে তাদের মামলা করতে বলছে।এবিষয়ে জানতে চাইলে বাগমারা বিএমডিএর সহকারী প্রকৌশলী রেজাউল ইসলাম এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে, তিনি বলেন, গাছগুলো গ্রামবাসীকে জব্দ করে রাখতে বলা হয়েছে। এব্যাপারে রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) এসও মাসুদ বলেন, বাঁধ তাদের, তবে গাছ বিএমডিএর তারা যদি পদক্ষেপ না নেয় তাহলে তাদের করনীয় কিছু নাই। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বেলাল দিগর সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, প্রতিপক্ষরা তাদের বিরুদ্ধে এসব মিথ্যচার করছে।