কুলি থেকে কোটিপতি রবিউল

তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি: রাজশাহীতে তেল চুরির মূল হোতা রবিউল সরদার প্রকাশ্যে চলাফেরার করলেও আটক হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। বুধবার দুপুরের দিকে তাকে কোট স্টেশন এলাকায় দেখা যায়। অভিযোগ উঠেছে গত অনুমানিক ১০ বছর আগে নড়াইল থেকে জিবিকার তাগিদে রাজশাহী আসেনপ রবিউল সরদার। এরপর তিনি রাজশাহী বাফার সার গোডাউনে লেবার হিসেবে কাজে যোগদান করেন। পরে তিনি তার দক্ষতা ও বুদ্ধিতে লেবার সরদার হিসেবে লেবার পরিচালনা করতেন। এর পাশাপশি রেলওয়ের তেলের ডিপোতে থাকা ইনচার্জ আমজাদ হোসেন, সহকারী ইনচার্জ আসপাকুল ও তার ছোট ভাই মোমিনুল ইসলাম মোমিন ও আরিফ এরা তিন ভাই মূলত রেলওয়ের ডিপোতে অস্থায়ী ভিত্তিতে চাকুরি করেন। অভিযোগ রয়েছে, আসপাকুল ও তার ছোট ভাই মোমিনুল ইসলাম মোমিন ও আরিফ এরা তিন ভাই পদ্মা ও যমুনা ওয়েল কোম্পানীসহ রেলওয়ের নিজস্ব তেল পাচারের সাথে জড়িত। আর এদের সাথেই গভির সক্ষতা গড়ে উঠে রবিউল সরদারের। শুরু হয় অল্প অল্প করে স্বল্প মূল্যে রেলওয়ের তেল ক্রয়। আর চুরির তেলের লাইন পেয়ে তিনি যেন কাল্পনিক আলাউদ্দিনের চেরাগ পেয়ে যান। আর এই চেরাগ পাওয়ার পর থেকে পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। ৭ থেকে ৮ বছরের ব্যবধানে শত শত কোটি কোটি টাকা কামিয়ে নেন রবিউল সরদার।
অপর দিকে, রাজশাহী জেলা ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও রাজশাহী জেলা ট্রাক মালিক গ্রুপ এর সভাপতি হওয়ায় ট্রাক মালিকদের কল্যানের নামে করেন চাঁদাবাজি এই রবিউল সরদার।
রাজশাহীতে রয়েছে তার ১৮ টি ট্রাক, ১২টি ট্রাঙ্ক লরি, তিনটি তেলের ডিপো। তেল পাচারের সুবিধার্তে করেছেন চারটি লাইসেন্স। স্ত্রীর নামে তামান্না এন্টারপ্রাইজ, ম্যানেজারের নামে রিপন এন্টারপ্রাইজ, ছেলের নামে তানভীর এন্টার প্রাইজ, নিজের নামে সরদার পেট্রোলিয়াম এজেন্সি। এছাড়াও বিএডিসি ও বিসিআইসি’তে রয়েছে নিজের নামে ও ম্যানেজারের নামে ডিলারশিপ।
নির্ভর যোগ্য সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহীতে একাধিক ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন করে থাকে রবিউল সরদার। এর মধ্যে, জনতা ব্যংক, পূবালী ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, উত্তরা ব্যাংক, এনসিসি ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, যমুনা ব্যাংক ও কোট শাখা সোনালী ব্যাংক। সূত্রটি আরো জানায়, অর্ধশতাধিক সারের ডিলারদের কাছে দাদন হিসেবে দিয়ে রেখেছেন অনুমানিক আড়াই কোটি টাকা।
এর অগে রাজশাহীতে বাফার গোডাউনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শামীম হোসেনকে হাত করে সরকারের বরাদ্দকৃত কৃষকের সার নিয়ে করেছেন বাণিজ্য। আর অসৎ উপায়ে কামিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। ওই ঘটনায় দুদকে তদন্ত চলছে বলে জানা গেছে।
এ ঘটনায় শামীম হোসেনকে শাস্তিমূলক হিসেবে সেকেন্ড ম্যানেজার পদে বদলি করা হয় জয়পুরহাটে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *