আদমদীঘিতে করোনা সচেতনায় মানবতার সেবায় কাজ করছে ১১ জন স্বাস্থ্যকর্মী
আদমদীঘি প্রতিনিধি: সরকারি ওয়েব সাইডে এ. টু. আই. ও ব্র্যাক এর যৌথ উদ্যোগে করোনা ভাইরাস কোভিট-১৯ এ প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ১১ জন বগুড়ার আদমদীঘির উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বেচ্ছায় মানবতার সেবায় কাজ করে যাচ্ছেন। গত ১৮ এপ্রিল থেকে ওরা ১১ জন করোনা ভাইরাস সচেতনতামূলক কার্যক্রম সহ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সকল কাজে তারা সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। সারা বিশ্বব্যাপী ইতিমধ্যে এই মরণঘাতি মহামারী করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। বাংলাদেশেরও প্রায় ৬০জেলায় এই সংক্রামক ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। এদিকে সরকারি এক ওয়েব সাইড এ. টু. আই ও ব্র্যাকের যৌথ ভাবে করোনা ভাইরাস শতর্কতামূলক সচেতনার জন্য স্বেচ্ছায় স্বাস্থ্যকর্মী প্রশিক্ষণের বিবৃতি দেয়। ওই বিবৃতি ওয়েব সাইডে দেখার পর বগুড়ার জেলা পরিষদের সংরক্ষিত নারী সদস্য ও আদমদীঘি আইপিজে পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনজু আরা বেগমের নেতৃত্বে ১১ সদস্যের একটি টিম গঠন করে এ. টু. আই ও ব্র্যাকের উদ্যোগে অনলাইনে করোনা ভাইরাস সচেতনামূলক স্বাস্থ্যকর্মীরা প্রশিক্ষণ নেয়। গত ১৮ এপ্রিল থেকে স্বেচ্ছায় এই প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ১১ জন স্বাস্থ্যকর্মী মানবতার সেবায় নিরলস ভাবে আদমদীঘি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কাজ করে যাচ্ছেন। আদমদীঘি উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় এ পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা মোট ২০৬ জন ব্যক্তি হোমকোয়ারেন্টাইনে রয়েছে। এছাড়াও ৭০ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে উপজেলার শাঁওইল গ্রামের পুলিশ সদস্য আহসান হাবীব (২৯) ও সান্তাহার সাহেবপাড়া মহল্লার সিএনজি চালক মিলন হোসেন (২৮) নামের ২দুই জনের নমুনা পরীক্ষায় পজেটিভ আসে। বর্তমানে শাঁওইল গ্রামের ওই পুলিশ সদস্য আহসান হাবীব এই করোনা যুদ্ধে বিজয়ী হয়ে বাড়িতে ফিরে এসে সাধারণ জীবন যাপন করছে। এ ব্যাপারে আদমদীঘি উপজেলা স্বাস্থ্য পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ শহীদুল্লাহ দেওয়া জানান, এই মরণঘাতি করোনা ভাইরাসটি সারা বিশ্বের সাথে বাংলাদেশেও ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়েছে। ঠিক তখনই আদমদীঘি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত ডাক্তার ও নার্সদের পাশাপাশি ওয়েব সাইডে স্বেচ্ছায় প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ১১ জন কর্মী মানবতার সেবায় আমাদের সাথে কাজ করে যাচ্ছেন।