আমরা বিপর্যয়ের দিকে যাচ্ছি

অপরাধ তথ্যচিত্র ডেক্স: কোথায় গেলে রক্ষা? কীভাবে পাবে রক্ষা? কী করলে পাবে রক্ষা? সামান্য এক ভাইরাসে দিশেহারা মানবজাতি। বিপর্যস্ত মানবজাতির দৈনন্দিন কর্মকাণ্ড। লণ্ডভণ্ড পৃথিবীর স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। কোনও ভাবেই দিশে পাচ্ছে না বিশেষজ্ঞরা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে এতো বড় বিপর্যয়ে পৃথিবী আগে কখনো পড়েনি। পুরো পৃথিবীবাসী এখন অপেক্ষায় আছে এই দুর্যোগ কীভাবে শেষ হবে, কবে শেষ হবে, কতোটুকু ক্ষতির মধ্য দিয়ে শেষ হবে সেটা জানতে।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, কোভিড-১৯ নামে এ ভাইরাসে এখন পর্যন্ত সারা বিশ্বে প্রায় দুই লাখ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন, আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ২৪ লাখ মানুষ। তবে সুস্থ হয়েছেন প্রায় ৬ লাখ মানুষ।এই বিপর্যস্তের তালিকা বাংলাদেশও। সবচেয়ে আতঙ্কের খবর হল, দিন দিন করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ও মৃত্যু হার বাড়ছে। এখন পর্যন্ত মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৯১ জনে। দেশে করোনা আক্রান্তের মোট সংখ্যা বেড়ে ২ হাজার ৪৫৬ জন হয়েছে।আমরা যে বিপর্যয়ের দিকে যাচ্ছি সেটি স্বীকার করেছে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকও। তিনি বলেছেন, করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া দুটি কারণে বন্ধ হচ্ছে না। প্রথমত, লকডাউন কাজ করছে না সেভাবে, যেভাবে আমরা আশা করছি। দ্বিতীয়ত, লোকজন আক্রান্ত এলাকা থেকে ভালো এলাকায় যাচ্ছে। নতুন লোক আক্রান্ত হচ্ছে। অর্থাৎ কমিউনিটি ট্রান্সমিশন বেড়ে যাচ্ছে। এতে দিন দিন আমরা বিপর্যয়ের দিকে যাচ্ছি।স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রথমত, লকডাউন কাজ করছে না সেভাবে, যেভাবে আমরা আশা করছি। দ্বিতীয়ত, লোকজন আক্রান্ত এলাকা হতে ভালো এলাকায় যাচ্ছে। নতুন লোক আক্রান্ত হচ্ছে। অর্থাৎ কমিউনিটি ট্রান্সমিশন বেড়ে যাচ্ছে।’
সবাইকে সতর্ক করে দিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এ সপ্তাহে (শুরু পর তৃতীয় সপ্তাহ) ইউরোপ-আমেরিকায় বিপর্যয় শুরু হয়েছিল। এ সপ্তাহ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ রকম সময়েই ইউরোপ-আমেরিকায় হাজার হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছিল। প্রাণ হারিয়ে ছিল। যার রেশ এখনো টানছে দেশগুলো।মন্ত্রী বলেন, ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে লকডাউনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু লকডাউন সেভাবে কার্যকর হয়নি। আমরা এখনো দেখছি মানুষ বিনা প্রয়োজনে ঘরের বাইরে ঘোরাফেরা করছে। নতুন লোক আক্রান্ত হচ্ছে। কমিউনিটি ট্রান্সমিশন বেড়ে গেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *