তানোরে লকডাউনে লঙ্কাকান্ড!

তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোরে প্রশাসন লকডাউন ঘোষণা করেছেন। আর এই লকডাউনের মধ্যে লঙ্কাকান্ড ঘটিয়ে মারপিট,ভাংচুর লুটপাট ও নারীর শ্লীলতাহানি করে এলাকায় ত্রাস সৃস্টি করা হয়েছে। কলমা ইউপির চন্দনকৌঠা গ্রামের বাসিন্দা ও সাবেক মেম্বার রফিকুল সরদারের পুত্র পিলখানা হত্যাকান্ডের আলোচিত আসামী পলাশ বিডিআর ও জাহাঙ্গির আলম দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে লাঠিয়াল বাহিনী নিয়ে বাঙলা ভাই স্টাইলে প্রকাশ্যে দিবালোকে পিপড়াকালনা গ্রামে হামলা করে ভাঙচুর,লুটপাট,নারীর শ্লীলতাহানী করে এলাকায় ত্রাস সৃস্ট করেছে। এদের হাত থেকে রেহাই পায়নি মায়ের কোলে থাকা শিশু প্রতিবন্ধী কিশোর। তাদের তান্ডবের পর থেকে গ্রামের প্রতিবন্ধী কিশোর ফারুক হোসেন ১৬ নিখোঁজ রয়েছে। এমনকি পিপড়াকালনা গ্রামের কোনো মানুষ গ্রামের বাইরে হাটবাজার বা ফসলী জমিতে যেতে পারছে না গ্রামের বাইরে গেলেই তাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ছে জাহাঙ্গির বাহিনী। তাদের সন্ত্রাসীর কারণে পিপড়াকালনা আতঙ্কের জনপদে পরিনত হয়েছে। স্থানীয় আবুল হোসেন, রমজান রুবেল জানান, জাহাঙ্গির পলাশ দুই ভাই এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে।
জানা গেছে,কলমা ইউপির পিঁপড়া মৌজায় ২৩৩ নম্বর দাগে ২৪ শতক দৈর্ঘ্য ৩৭৫ ও প্রস্ত ৩২৫ ফিট আয়তনের একটি খাস পুকুর রয়েছে। এদিকে পলাশ বিডিআর ও জাহাঙ্গির আলম রাজনৈতিক প্রভারবিস্তার করে আশার আলো নামের ভুয়া সমিতির নামে পুকুরটি ৩ বছরের জন্য ইজারা নিয়ে মাছ চাষ করছে। অপরদিকে পুকুর পাড়ে একই মৌজায় ৩৪-৩৫ নম্বর দাগে এক একর ৩৩ শতক ব্যক্তি মালিকানাধীন ফসলী জমি রয়েছে। এসব ফসলী জমি ১০ বছরের জন্য ইজারা নিয়েছেন পিঁপড়াকালনা গ্রামের মৃত ফয়েজ উদ্দিনের পুত্র নাজিমুদ্দিন। এদিকে নাজিমুদ্দিন তার ইজারা নেয়া ফসলী জমিতে গেলে এসব জমি পুকুরের দাবি করে জাহাঙ্গির-পলাশ বাধা দেয় এনিযে উভয় পক্ষের মধ্যে কথাকাটা হয়। আর এই তুচ্ছ ঘটনার প্রতিশোধ নিতে ১২ ও ১৩ এপ্রিল জাহাঙ্গির-পলাশ বিহরাগত লাঠিয়াল বাহিনী নিয়ে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে পিঁপড়াকালনা গ্রামে হামলা,ভাংচুর,লুটপাট ও নারীর শ্লীলতাহানী করে রেহাই পায়নি মায়ের কোলের শিশু ও প্রতিবন্ধী।তাদের হামলায় আহত হয়েছে মিজান, সেবুল, মর্জিনা, নাজিমুদ্দিন সহ কমপক্ষে ১০ জন।। জাহাঙ্গির-পলাশের চরম দৌরাত্নের কারণে এলাকা এখন আতঙ্কের জনপদে পরিণত হয়েছে। এলাকাসী এঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জনিয়ে এসব সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করেছেন। এব্যাপারে তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি রাকিবুল হাসান বলেন,এখানো কোনো পক্ষই লিখিত অভিযোগ করেনি, তিনি বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে
প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এবিষয়ে জানতে জাহাঙ্গির আলম ও পলাশ বিডিআর অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ছোট ঘটনা ওরা বড় করে প্রচার করছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *