কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে জাল জালিয়াতির দূর্গে পরিনত করেছেন, ন্যাশনাল ব্যাংক, মহাখালী শাখার, শাখা ব্যবস্থাপক: সৈয়দ রইস উদ্দিন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট(ঢাকা ): বাংলাদেশ ব্যাংক এর নিয়ম অনুযায়ী কোন ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠান কে ঋন সুবিধা দিতে হলে কিছু নিয়ম নীতি মেনে নিয়ে তারপর সেই ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠান কে ঋন এর সুযোগ দিতে হয়।
কিন্তু কিছু দিন আগে ন্যাশনাল ব্যাংক এর বোর্ড এ একটি ঋন অনুমোদিত হয়।
কোম্পানি: ওমেক্স সিনহা গ্রুপ
ঋন এর পরিমাণ ৬২৫ কোটি।
ফাইল টি বোর্ড এ প্রদান এর আগে শাখা ব্যাবস্থাপক এর অনেক কিছু নিয়ম নীতি অনুসরণ ও অনুধাবন করা পর ফাইল টি কে বোর্ড এ প্রেরন করতে হয়। কিন্তু মিঃ সৈয়দ রইস উদ্দিন সাহেব, ওমেক্স সিনহা গ্রুপ এর সি আই বি ঠিক না থাকা সত্ত্বেও গোজামিল দিয়ে অনেক তথ্য গোপন করে, শাখা ব্যবস্থাপক এর নিজ কার সাজিতে ফাইলটি বোর্ড এ প্রেরন করেন এবং সু কৌশলে মঞ্জুর করে নিয়ে আসেন।
একটি লোন মঞ্জুর হবার পরও কিছু নিয়ম নীতি মেনে তারপর ঐ ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কে ঋন প্রদান করতে হয়। যেমন।।
১. ব্যক্তির Cib
২. হেড অফিস এর অনুমোদন
৩.অরিজিনাল মঞ্জুরী পত্র
৪.ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এর প্রদানকৃত জমির মূল দলিল, খারিজ পত্র।
৫. সকল দলিল গুলো রেখে ব্যাংক এর অনুকূলে সাব রেজিস্ট্রার হইতে মরগেজ করা।
এই সকল প্রকৃয়া সম্পন্ন করার পর প্রধান কার্যালয় এর সি আই ডি, বিভাগের অনুমোদন এর পর, ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কে ঋন সুবিধা দিতে পারে শাখা ব্যবস্থাপক।
কিন্তুু শাখা ব্যবস্থাপক মিঃ সৈয়দ রইস উদ্দিন সাহেব, ওমেক্স সিনহা গ্রুপ এর ক্ষেত্রে এই সকল কোন নিয়ম না মেনে অনেক তথ্য গোপন করে, নিজের একক ইচ্ছে মতে, ওমেক্স সিনহা গার্মেন্টস এর একাউন্ট এ ৬০ কোটি টাকা দিয়ে দেয়, যেটা ব্যাংক এর কোন আইন এর মধ্যে পরে না তাহলে কেন শাখা ব্যবস্থাপক নিজের একক ইচ্ছায় কাউ কে কিছু না জানিয়ে, কোন সার্থে, কিসের লোভে পরে সে এই ধরনের নিয়ম বহির্ভূত কাজ করলো। সাধারণ জনগন তা জানতে চায়। কারন এই সকল টাকা সাধারন মানুষের আমানত কৃত টাকা।
ইতি মধ্যে সৈয়দ রইস উদ্দিন সাহেব এর বিরুদ্ধে অনিয়ম এর তিন লোন এর মামলা, বাংলাদেশ ব্যাংক ও দুদক অনুসন্দন করছে।
কোম্পানি গুলে হল।
১.হাসান টেলিকম
২.প্রকৃতি এ্যাসোসিয়েটস
৩. হেডওয়ে
বাংলাদেশ ব্যাংক যদি সুষ্ঠ তদন্ত না করে তাহলে এই দূর্নীতিবাজ রইস উদ্দিন এর মাধ্যমে বাংলাদেশ এর ব্যাংকিং খাত অচল হয়ে যাবে।।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *