কুষ্টিয়ায় আইসোলেশন থাকা নারীর মৃত্যু, বিনা চিকিৎসার অভিযোগ

অপরাধ তথ্যচিত্র ডেক্স: কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসার জন্য নির্ধারিত আসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি হওয়া চিকিৎসাধীন ময়না খাতুন (৪৩) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। তবে করোনা আক্রান্ত নয় দাবি করে বিনা চিকিৎসাই মৃত্যুর অভিযোগ ওই নারীর স্বজনদের। রবিবার (১২ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতলের আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ময়না খাতুনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। ময়না খাতুন কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার আমলা ইউনিয়নের মহদীপুর ঈদগাহ পাড়া এলাকার আব্দুর রহিমের স্ত্রী। তিনি নিঃসন্তান ছিলেন। কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. তাপস কুমার সরকার জানান, রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ময়না খাতুন (৪৩) কে মৃত ঘোষণা করা হয়। এর আগে গত শুক্রবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে ওই রোগী ঠান্ডা জ্বর নিয়ে জরুরি বিভাগে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক করোনা ভাইরাস আক্রান্তের সন্দেহে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। শনিবার (১১ এপ্রিল) যথারীতি তার নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআরের ল্যাবে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে ভাইরাস পরীক্ষার ফলাফল এখনও আমরা জানতে পারিনি। মৃত ময়না খাতুনের স্বামী আব্দুর রহিম জানান, ১০ মাস আগে ময়না ইউটেরাস টিউমার অপারেশন করার পর থেকেই আরও বেশী অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। তিনি অ্যাজমাসহ মূত্রনালীর সংক্রমনে ভুগছিলেন। কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে আসলে ডাক্তার দেখে করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি করেন। ওই ওয়ার্ডে রেখে কোন চিকিৎসা দেয়া হয়নি। বিনা চিকিৎসার ফলে ময়না মারা গেছে বলে অভিযোগ মৃত ময়নার স্বামী আব্দুর রহিমের। আমলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম মালিথা জানান, আমরা ওই মৃত ব্যক্তির বাড়িতে যেতে না পারে এজন্য প্রবেশ রাস্তা বাঁশ দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছি। সতর্কতামুলক ব্যবস্থা হিসাবে এটি গ্রহণ করা হয়েছে। কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডা. এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম জানান, যেহেতু করোনা সন্দেহে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি হওয়া ওই রোগীর নমুনা পরীক্ষার ফলাফল এখনও আমরা জানতে পারিনি সে কারণে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের নির্দেশিত পদ্ধতি অনুসরন করে মরদেহ দাফন করা হবে। সেই সাথে রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত ওই পরিবারসহ আশপাশোর কয়েকটি বাড়িতে লকডাউনের পরামর্শ দেয়া হয়েছে প্রশাসনকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *