লকডাউন বাড়লে, ১০০ জন বাঁচলে বেকারত্বের কারণে ২০০ জন মরবে
অপরাধ তথ্যচিত্র ডেক্স: অর্থনীতিকে বাঁচাতে প্রয়োজন আংশিক লকডাউন। এর মেয়াদ বৃদ্ধি করলে অর্থনীতিতে তার সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়তে পারে। বৃহস্পতিবার বেনেট বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে আয়োজিত স্বাস্থ্য এবং আর্থিক ব্যবস্থার আন্তর্জাতিক অনলাইন কনফারেন্সে যোগ দিয়ে এই তত্ত্বে জোর দিয়েছেন ভারতীয় বিশেষজ্ঞরা। বিষয়টি ব্যাখ্যায় ‘মহাভারতের’ প্রসঙ্গও টেনে আনেন ভারতীয় বিশিষ্ট লেখক গুরচরণ দাস। ‘রোগ থেকে আপনি যদি ১০০ জনকে বাঁচান তবে বেকারত্বের কারণে ২০০ জন হয়তো প্রাণ হারাবে। এখানে আপনাকে দেখতেই হবে যে কোথায় সংখ্যা কম। তবে ব্যক্তিগতভাবে বিচার করলে বলতে পারি, আমার কি নিজের সন্তানকে COVID 19-এ কারণে মরতে দেওয়া উচিত নাকি নৈতিক অনুভূতিকে। আমি কিন্তু, ভবিষ্যতের চিন্তা না করে বর্তমানের জীবন বাঁচানোকে গুরুত্ব দিতাম।’ ভারতে প্রথম এমন অভিনব অনলাইন কনফারেন্সে অংশ নিয়ে বলেন গুরচরণ দাস। এরপরই ‘মহাভারত’ এর উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ‘মহাভারতে বিদুর কিন্তু রাজসভার বিশ্বস্ত পরামর্শদাতা ছিলেন। উনি বলেছিলেন, গোটা গ্রামকে বাঁচাতে গিয়ে একজনের বলি দিতে পারি। এটা ধর্মসংকট। দু’ভাবেই আপনার ক্ষতি।’
করোনা পরিস্থিতির মোকাবিলায় লকডাউনের কারণে কর্মসংস্থান সমস্যার উল্লেখ করে দাস আরও বলেন, ‘এই লকডাউনের সময় বিহারের এক গরিব শ্রমিক বলেছে, করোনা যদি না মারতে পারে, না খেতে পেয়েই হয়তো মারা যাব।’লেখকের সংযোজন, ‘কে বাঁচবে আর কে মরবে…প্রশ্ন আজ মোদী সরকারের সামনে।’
একাধিক লকডাউনের জেরে মারাত্মক মন্দার সম্মুখীন হওয়া, না খেতে পেয়ে যে অসংখ্য অসংগঠিত ক্ষেত্রের মানুষের মৃত্যু এবং এই অতিমারীর কারণে যে যুগ যুগ পিছনে দেশকে চলে যেতে হতে পারে, সেই বিষয়ে সতর্ক করেন গুরচরণ দাস।তিনি বলেন, ‘আমিও এই বিষয়ে ভাবি, প্রাণ থাকলেও জীবন কি থাকবে? করোনার চিকিৎসা কি মৃত্যুর থেকেও ক্ষতিকর!’এই কনফারেন্স থেকেই ডিজিটাল অর্থনীতি সচল থাকলেও ‘অর্থনীতির ৫০-৫৫% ভেঙে পড়তে চলেছে’ বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন প্রাক্তন অর্থসচিব সুভাষ চন্দ্র গর্গ।