ভূমিহীন মাতুয়ারারার মাথাগোঁজার ঠাঁই হবে কি ?
আলিফ হোসেন, তানোর: রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার গোদাগাড়ী ইউনিয়নের (ইউপি) পাহাড়পুর গ্রামের বাসিন্দা ভূমিহীন আব্দুল হালিমের স্ত্রী মাতুয়ারা বেগম স্থানীয় ভূমিগ্রাসী মহলের রোষাণলে পড়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যখন জায়গা আছে ঘর নাই ও ভূমিহীন পরিবারকে ঘর নির্মাণ করে দিচ্ছেন তখানো মাতুয়ারা একখন্ড খাস জমির ওপর মাথাগোঁজার ঠাঁই কুঁড়ে ঘর নির্মাণ করতে পারছেন না, তার ঘর নির্মাণ করতে গেলে অদুশ্যে কারণে প্রশাসন বার বার বাধা দিচ্ছেন কিšত্ত কেন ? প্রায় ৩০ বছর বসবাস করেও যদি জায়গা না পায় তাহলে তিনি যাবেন কোথায় ? আর কেই বা তাকে মাথাগোঁজার ঠাঁই দিবেন ?
জানা গেছে, গোদাগাড়ী উপজেলার গোদাগাড়ী ইউপির পাহাড়পুর মৌজায় ২৮৪ নম্বর দাগে পাহাড়পুর গ্রামে একখন্ড খাস জমির উপর বেড়া-টাটির ঘরে মাতৃয়ারা প্রায় ৩০ বছর ধরে পরিবার নিয়ে বসবাস করে আসছেন। এদিকে মাতুয়ারা এই জমি ইজারা (লীজ) গ্রহণের জন্য উপজেলা ভূমি অফিসে আবেদনও করেছেন, তবে অদুশ্যে কারণে তাকে ইজারাও দেয়া হচ্ছে না। অন্যদিকে ঝড়ে তার সেই স্বপ্নের কুঁড়ে ঘর তছনছ করে দিয়েছে। সম্প্রতি মাতুয়ার কয়েকটি এনজিও থেকে উচ্চ সুদে ঋণ গ্রহণ করে সেখানে ইট দিয়ে ঘর নির্মাণ শুরু করলে অদৃশ্যে কারণে উপজেলা প্রশাসন থেকে বাধা দেয়া হয়। মাতুয়ারার জানান, স্থানীয় একটি ভূমিগ্রাসী মহল তাদের এখান থেকে উচ্ছেদ করতে দীর্ঘদিন ধরে অপতৎপরতা করে আসছে। তিনি বলেন, ভূমিগ্রাসী মহলের মদদে তার ঘর নির্মাণে উপজেলা প্রশাসন বাধা দিচ্ছে। স্থানীয় ভূমি অফিসের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, মাতুয়ারা প্রায় ৩০ বছর ধরে সেখানে বসবাস করছে এই জমি ইজারা (লীজ) নেয়ার একমাত্র হকদার তিনি। তিনি বলেন, তাকে বৈধভাবে লীজ না দিয়ে তার ঘর নির্মাণে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি দুঃখজনক ঘটনা। এব্যাপারে গোদাগাড়ী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এবিষয়ে বিস্তারিত খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এব্যাপারে একাধিকবার যোগাযোগের চেস্টা করা হলেও মুঠোফোনে কল গ্রহণ না করায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজমুল ইসলাম সরকারের কোনো বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।