লকডাউনে ৬টি বিষয়ের দিকে নজর দেয়ার কথা বলছে
অপরাধ তথ্যচিত্র ডেক্স: করোনা ভাইরাসে গোটা বিশ্ব আজ বিচ্ছিন্ন। বিচ্ছিন্ন বাংলাদেশও। নেই কোনও আনাগোনা, দিনের বেলাতেও শুনশান নিরবতা। ভোর হতেই যে রাজধানী জেগে উঠে কোলাহলে, সেই রাজধানী এখন কোলাহলমুক্ত। নেই মানুষের সমাগম। পুরো রাজধানী নিরব-নিস্তব্ধ। এই চিত্র শুধু রাজধানী নয়, গোটা বাংলাদেশ। এ যেন লকডাউন। যদিও করোনাভাইরাসের কারণে বাংলাদেশ সরকার লকডাউনের আনুষ্ঠানিক কোনও ঘোষণা দেয়নি। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে জনসাধারণকে আহ্বান জানানো হয়েছে ঘরে থাকার। সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ রয়েছে। দোকান মালিক সমিতি বুধবার থেকে বন্ধ করে দিয়েছেন সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। যদিও বাংলাদেশকে লকডাউন কিংবা জরুরি অবস্থা ঘোষণার পরামর্শ দিয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। জাতিসংঘের এই সহযোগী সংস্থাটি লকডাউন কিংবা শাটডাউন পরিস্থিতিতে দেশগুলোকে ৬টি বিষয়ের দিকে নজর দেয়ার কথা বলছে।
১) যতটা সম্ভব পারা যায় স্বাস্থ্য সেবা ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সংখ্যা বাড়াতে হবে, তাদের প্রশিক্ষণ ও সেবা কাজে নিয়োগ করতে হবে।
২) কম্যুনিটি লেভেলে সংক্রমণ হতে পারে- এমন প্রতিটি ঘটনা খুঁজে বের করার ব্যবস্থা করতে হবে।
৩) টেস্ট করার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা ত্বরান্বিত করতে হবে।
৪) রোগীদের চিকিৎসা এবং তাদের আইসোলেট করার জন্য পর্যাপ্ত সুবিধার ব্যবস্থা করতে হবে।
৫) রোগীদের সংস্পর্শে আসা প্রত্যেকের কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করার জন্য একটি সুস্পষ্ট পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।
৬) ইতিমধ্যে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মোকাবেলা করার জন্য গৃহীত সরকারি পদক্ষেপগুলো পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে এসব ব্যবস্থা নেয়াটাকেই সবচেয়ে ভালো পদক্ষেপ হিসেবে বর্ণনা করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তাদের দাবি, এসব ব্যবস্থাই প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের সংক্রমণ কমানো এবং পরবর্তীতে যাতে এটি আবার না ছড়াতে পারে- তার সবচেয়ে ভালো উপায়।