লোহাগড়ায় উন্নয়ন কাজের তথ্য দিতে উপ-সহকারী প্রকৌশলীর গড়িমসি
লোহাগড়া (নড়াইল) প্রতিনিধি: নড়াইলের লোহাগড়া জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। এ দপ্তরের প্রধান উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. শাহিন আলম। তার কাছ থেকে ওই কার্যালয়ের বর্তমান সরকারের ধারাবাহিক উন্নয়ন কর্মকান্ডের তথ্য চেয়েও পাচ্ছেন না গণমাধ্যম কর্মীরা। ফলে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের নজরে আনতে নড়াইল জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেন স্থানীয় সাংবাদিক কাজী আশরাফ। তিনি এশিয়ান টিভির লোহাগড়া প্রতিনিধি। এছাড়া তিনি দৈনিক করতোয়া ও ভোরের দর্পণ পত্রিকার স্থানীয় সাংবাদদাতা।
জেলা প্রশাসক বরাবর সাংবাদিক কাজী আশরাফ লিখিত আবেদনে উল্লেখ করেন, বর্তমান সরকারে ধারাবাহিক উন্নয়ন মুলক কাজের চিত্র প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া তৃণমূল জনগোষ্ঠীর কাছে পৌছে দিতে কাজ করছে। সেই লক্ষে গত জানুয়ারি মাসে একাধিকবার মৌখিক ভাবে উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের চলমান কাজের কিছু তথ্য চেয়েছিলেন উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. শাহিন আলমের নিকট। নানামুখি কাজের অযুহাতে শাহিন আলম সেই সময় তথ্য না দিয়ে এড়িয়ে যান। পরে তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ মোতাবেক কাজী আশরাফ তথ্য প্রাপ্তির নির্দিষ্ট আবেদন ফরমে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে দুই টি তথ্য চেয়ে উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. শাহিন আলম বরাবর ১২ ফেব্রুয়ারি আবেদন করেন। আবেদনের এক মাস দশ দিন পার হয়ে গেলেও মো. শাহিন আলম তথ্য গোপন করতে নানা রকম পন্থা অবলম্বন করেন। তথ্যের অবাধ প্রবাহ এবং জনগনের তথ্য অধিকার নিশ্চিত করণে জেলা প্রশাসকের নিকট ২২ মার্চ সহযোগিতা চেয়ে আবেদন করেন কাজী আশরাফ। পরে ২৪ মার্চ সাংবাদিক কাজী আশরাফকে আবেদনে উল্লেখিত তথ্য অফিস থেকে নিয়ে যেতে ফোন করেন মো. শাহিন আলম।এ বিষয়ে উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. শাহিন আলম বলেন, বিভিন্ন কারনে এবং দাপ্তরিক কাজে ব্যস্ত থাকায় তথ্য দিতে দেরি হয়েছে। সাংবাদিক কাজী আশরাফ বলেন, তথ্যের অবাধ প্রবাহ, জনগনের তথ্য অধিকার নিশ্চিত করন এবং কাজের স্বচ্ছতা আনতে তথ্য প্রাপ্তিতে সংশ্লিষ্ট দপ্তর প্রধানগণ আরও বেশি আন্তরিক হবেন।