মাগুরার শ্রীপুরে প্রচ- শিলাবৃষ্টি ও ঝড়ে ঘর-বাড়ি ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি
মাগুরা প্রতিনিধি: মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের অন্তত ২০টি গ্রামে গতকাল মঙ্গলবার আনুমানিক রাত আড়াইটার দিকে প্রচ- শিলাবৃষ্টি ও ঝড়ে শতাধিক ঘর-বাড়ি ও প্রায় ১৩ শ ২ হেক্টর জমির রবি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি ও প্রচুর বন্য পাখির মৃত্যু হয়েছে। রাতের বিশালাকৃতির শিলাগুলি পরদিন দুপুর পর্যন্তও বিভিন্ন পাকা রাস্তা, পুকুর ও খানা-গর্তে থরে থরে পড়ে থাকতে দেখা যায়।সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার শ্রীপুর সদর, আমলসার, দারিয়াপুর, রাজাপুর, দূর্গাপুর, তখলপুর, চরশ্রীপুর, হোগলডাঙ্গা, চরকচুয়া, কালিনগর, চিলগাড়ি, বালিয়াঘাটা, খড়িবাড়িয়া, গোপালপুর, কল্যাণপুর, বাগবাড়িয়া, চরগোয়ালপাড়া, চরজোকা, নতুনপাড়া, নবগ্রাম, কর-ী, নলখোলা, চৌগাছিসহ অন্তত ২০টি গ্রামের উপর দিয়ে এ শিলাবৃষ্টি ও ঝড় বয়ে যায়। এতে এ সকল গ্রামের শতাধিক টিনের ঘর বিশালাকৃতির শিলার আঘাতে ঝাঝড়া হয়ে গেছে। এছাড়াও প্রচুর বন্য পাখি মরে পড়ে আছে, মাঠের পেঁয়াজ, পেঁয়াজের বীজ, রসুন, পানের বরজ, ফলের বাগানসহ নানা ফসলের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে।চরশ্রীপুর গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত যাটোর্ধ প্রমথ বিশ্বাস বলেন, তার জীবনে এমন শিলাবৃষ্টি কখনও দেখেননি। তার প্রায় দুই একর জমির পেঁয়াজ একেবারে নষ্ট হয়ে গেছে। এ এলাকার বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
খবর পেয়ে মাগুরার জেলা প্রশাসক ডক্টর আশরাফুল আলম, উপজেলা চেয়ারম্যান মিয়া মাহমুদুল গনি শাহিন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জাহিদুল আমিন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইয়াছিন কবীর, থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাহবুবুর রহমান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সালমা জাহান নিপা, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা কোহিনুর জাহান ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্থদের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইয়াছিন কবীর জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের নামের তালিকা তৈরি হচ্ছে। অতিদ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত ঘরের মালিকদের টিন ও কৃষকদের আর্থিক সহযোগিতা দেওয়া হবে।