ভূমি অধিগ্রহনের জটিতলায় জামালপুর ধানুয়া কামালপুর-কদমতলা রাস্তা উন্নয়ন কাজ ব্যাহত
ওসমান হারুনী: ভূমি অধিগ্রহনে জটিতলতায় দেনা-পাওয়ানা যথা সময়ে পরিশোধ না হওয়ায় জামালপুর জেলার“জামালপুর-ধানুয়া কামালপুর-কদমতলা (রৌমারী)জেলা মহাসড়ক(কামালপুর স্থল বন্দর লিংকস) প্রসস্তকরণ ও মজবুতীকরণ”শীর্ষক প্রকল্প সঠিক সময়ে বাস্তবায়নের কাজ ব্যাহত হচ্ছে। সেই সাথে জন দূর্ভোগে পড়েছে এলাকাবাসী।
এলাকাবাসীর অভিযোগ,প্রকল্প এলাকার স্থানীয় একটি দালালচক্র অধিগ্রহনকৃত জমির মালিকদের ক্ষতিপূরণ আদায় করে নিয়ে দেওয়ার জন্য নানান কৌশলে কম মূল্যে অধিগ্রহনকৃত জমির মালিকদের নিকট জমি ও ঘর,দোকানপাট ক্রয় করছে। সেই সাথে জামালপুর ভূমি অধিগ্রহন শাখার লোকদের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে ক্ষতিগ্রস্থ তালিকার শ্রেণি পরিবর্তন করে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করারও পায়তারা করছে। ফলে সরকার কৃর্তক অধিগ্রহনের জন্য প্রস্তাবকৃত জমির মালিকরা বিপাকে পড়েছে তাদের পাওয়ানা টাকা নিয়ে। সরেজমিনে অধিগ্রহনকৃত জমির এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, পাথরের চরের আমেজ উদ্দিনের ছেলে বদিউজ্জামান, আব্দুল মজিদ মুন্সি ছেলে আবু সাইদ,খোকার ছেলে একল ও পাথরের চরের সোনা মিয়া, আব্দুর রৌফ মুন্সি, পাথরের চরের নূর নবী, ও ডিগ্রিচরের হাজী সৈয়দুর রহমানের ছেলে মিন্টুসহ একটি অসাধু দালাল চক্র জরিত রয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, ডিগ্রিচর বাজারের অধিগ্রহনকৃত জমির ভাড়াটিয়াদের ক্ষতিপূরণ/ভর্তিকী নিয়ে দেওয়ার জন্য শতাধিক দোকান মালিকদের নিকট বদিউজ্জামান বধি ১হাজার থেকে ২ হাজার টাকা করে হাতিয়ে নিয়েছে। দালালচক্রটি ভূমি অধিগ্রহন শাখার কর্মকর্তাদের যোগসাজসে ভূমি অধিগ্রহনের জমির মালিকদের ক্ষতিপূরণ টাকা নিয়ে তালবাহানা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ভোক্তভোগীদের অভিযোগ,সরকার আমাদের জমি অধিগ্রহনের পাওনা টাকা পরিশোধ করেনি। টাকা না পেলে আমরা কিভাবে আমাদের জমি,ঘর ও দোকান খালি করে দিব রাস্তার জন্য। ঠিকাদরী প্রতিষ্ঠান তমা কনস্ট্রাকশন এন্ড কোম্পানি লিমিটেড সূত্রে জানা গেছে অধিগ্রহনকৃত জমির মালিকদের ক্ষতিপূরণ সঠিক সময়ে পরিশোধ না হওয়ায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কাজের বাধাঁ সৃষ্টিসহ যথা সময়ে কাজ সমাপ্ত না করার আশংকায় পড়েছেন।