অবৈধ ভবন অক্ষত রাখতে রাস্তার উপর ড্রেন নির্মান, নেপথ্যে গডফাদার পৌরমেয়র।
মোতালেব হোসেন, নীলফামারী: মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুনজর সৈয়দপুর পৌরসভায় থাকায় বিশ্বব্যাংকের আওতায় সৈয়দপুরের রাস্তাঘাট ড্রেন, কমিউনিটি সেন্টার, নদী খননসহ, বিমানবন্দর সম্প্রসারণ, বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে সরকারের নিজস্ব পিলার ফ্যাক্টরী নির্মানকাজসহ সৈয়দপুর পৌরসভায় শত শত কোটি টাকার কাজ চলমান। সৈয়দপুর পৌরসভায় বিশ্বব্যাংকের টাকায় এমজিএসপি (মিউনিসিপ্যাল গর্ভনমেন্ট এন্ড সার্ভিসেস প্রজেক্ট) এর আওতায় শতকোটি টাকার কাজ চলছে সৈয়দপুর পৌরসভায়। উক্ত কাজের দায়িত্বে থাকা পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী ও সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল খালেক। এই খালেক সাহেবের সাথে পৌরমেয়রের আত্মীয়তা থাকায় এবং ঠিকাদার দূর্নীতিবাজ হওয়ায় গডফাদার পৌরমেয়র তার পুরাতন চিরাচরিত নিয়ম অনুযায়ী বীরদর্পে আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে পৌরসভায় সকল উন্নয়ন কাজেই তার অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে কাজগুলি নি¤œমানের করাচ্ছেন।
তার অবৈধ টাকা খেকো স্থানীয় আওয়ামীলীগ কতিপয় নেতাগন তাদের পকেট ভারী করার জন্য তার এইসমস্ত অবৈধ কর্মকান্ডে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন। গত ২২/০৩/২০২০ইং তারিখে সৈয়দপুরস্থ শেরে বাংলা সড়কের মাষ্টার ড্রেন এর কাজ পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায় রেলওয়ের জমিতে প্রতিষ্ঠিত একটি অবৈধ বহুতল ভবন যা রাস্তার উপরেই নির্মিত। ভবনটির মালিক বাবু আলী ডাল মিল। শোনা যায় উক্ত ভবনটির মালিক নাকি খুবই ধনী এবং ক্ষমতাবান ব্যাক্তি। অন্য সকল দোকানপাট ভেঙ্গে রাস্তা প্রশস্ত এবং তার পাশ দিয়ে ড্রেন নির্মান করা হলেও তার ভবনের সামনের অংশ না ভেঙ্গেই রাস্তার উপরেই নির্মিত হচ্ছে মাষ্টার ড্রেন। সেখানে ৪০ ফুট রাস্তা সংকুচিত হয়ে মাত্র ২০ ফুট হয়ে গেছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে দাবানলসহ একাধীক সাংবাদিক পৌরসভার সহকারী পরিদর্শককে রাস্তার উপর ড্রেন নির্মানের ব্যাপারে প্রশ্ন করলে তিনি কৌশলে প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে পালিয়ে যান। কাজ পরিদর্শনের সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল খালেককে খোজা খুজি করলে তিনিও সটকে পড়েন। নির্বাহী প্রকৌশলী আইউব আলীর মোবাইল নং ০১৭১৫৫৭২০৯৫ নাম্বারে বহুবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। ফলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এসি ল্যান্ডকে ঘটনার বিষয়ে জানানো হলে তারা বিষয়টি দেখবেন বলে জানান।
পাথরের স্তুুপে গিয়ে দেখা যায় অচল নি¤œমানের অনুপযোগী পাথর দিয়ে ঢালাই কাজ চলছে। ঠিকাদারের প্রতিনিধিকে জিজ্ঞেস করলে তারা স্বীকার করেন পাথরটি নি¤œমানের। উল্ল্যেখ করা প্রয়োজন এই ঠিকাদার গডফাদার পৌরমেয়রের মদদপুষ্ট গ্লাসফ্রেন্ড ডান হাত হওয়ায় শহরের সমস্ত কাজই তিনি একাই করছেন এবং তিনি পৌর আওয়ামীলীগের ব্যানার ব্যবহার করে ইতিপূর্বের কাজসহ সকল কাজই নি¤œমানের করেছেন। মুজিবর্ষের এই সময়ে দূর্নীতিবিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকা সস্তেও এই সমস্ত আওয়ামীলীগ নামধারী ঠিকাদারগন নি¤œমানের কাজ করে দেশের যে ক্ষতি করছেন তা দেখভাল কে করবে সেটি এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে।