কীভাবে থাকবেন হোম কোয়ারেন্টিনে , জানাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
অপরাধ তথ্যচিত্র ডেক্স: করোনাভাইরাসের ভয়াল থাবা আঘাত হেনেছে বাংলাদেশেও। এ পর্যন্ত দেশে ২০জন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে বিদেশফেরতদের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার অনুরোধ জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। কীভাবে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে তাও জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। আজ শুক্রবার রাজধানীর মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কার্যালয়ে প্রতিষ্ঠানটির রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা করোনাভাইরাস নিয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান।
ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, ‘বিদেশ থেকে কেউ আসলে অবশ্যই নির্দিষ্ট কক্ষে অবস্থান করতে হবে। যারা বিদেশ থেকে আসবেন তারা ঘরের বাইরে যাবেন না। আত্মীয়-স্বজন-প্রতিবেশী কারও সাথে সাক্ষাত করবেন না। পরিবারে যে লোকজন আছে কনটাক্ট হয়, এমন কিছু করবেন না এবং তারা ঘরের ভেতরেই থাকবেন।’ তিনি বলেন, ‘আমরা যদি সত্যিকার অর্থেই কোয়ারেন্টিন বুঝি এমনকি খাবারটাও ঘরের ভেতরে খাবেন। বাইরে থেকে ঘরের ভেতরে খাবার দিলে তবেই তারা খাবেন। তাদের ব্যবহার্য জিনিসপত্র, অন্যান্যদের ব্যবহৃত জিনিসপত্র থেকে আলাদা রাখতে হবে। যিনি কোয়ারেন্টিনে থাকবেন তার ব্যবহার্য জিনিসপত্র পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।’ এ চিকিৎসক সাধারণ মানুষের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘এই উপদেশগুলো যদি তারা মেনে চলেন। আপনাদের (সাংবাদিকদের) মাধ্যমে যদি বেশি বেশি প্রচার পায় আমাদের দেশের মানুষের পরিবার, আপনার পরিবার, আপনার আশেপাশের পরিবার এবং প্রত্যেক মানুষই নিরাপদ থাকবে। আমরা আশা করি সবাই সুস্থ থাকার স্বার্থে এই উপদেশগুরো মেনে চলবেন।’ পরামর্শ না মানলে সরকার কঠোর হবে জানিয়ে আইইডিসিআরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক বলেন, ‘এরপর এই পরামর্শগুলো যদি কেউ না মানেন তবে সরকার অবশ্যই কঠোর পদক্ষেপ নেবে। আপনারা দেখেছেন অনেককেই জরিমানা করা হয়েছে, একটি জেলাকে লকডাউন করা হয়েছে। এরপরও যদি লোকজন নির্দেশগুলো না মানে তবে সরকার আরও কঠোর হতে বাধ্য হবে।’ ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে ৩ জন করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন। এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ২০ এ। এ মরণঘাতী ভাইরাসে প্রাণ গেছে একজনের।