সান্তাহারের নির্যাতিত সেই গৃহবধুর শরীরের ক্ষতে পচন ॥ কাতরাচ্ছে হাসপাতালের বিছানায়
আদমদীঘি প্রতিনিধি : বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার পৌর শহরের তিয়রপাড়া মহল্লায় গরু ধান গাছ খাওয়া কে কেন্দ্র করে এক প্রভাবশালী ব্যক্তির নির্মম নির্যাতনের শিকার সেই গৃহবধু রানী বেগমের শরীরের ক্ষত স্থানের ত্বকে পচন ধরেছে। ক্ষতের অসহ্য যন্ত্রনা নিয়ে কারতাচ্ছে হাসপাতালের বিছানায়। থানায় অভিযোগ দেয়ার ৫দিনেও পুলিশ ওই প্রভাবশালী কে আটক বা গ্রেফতার করেনি। প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে মোস্তাফিজুর রহমান লাভলু নামের সেই প্রভাবশালী ব্যক্তি।
জানা গেছে, সান্তাহার শহরের ডাকবাংলো এলাকার বাসিন্দা ওই প্রভাবশালী ব্যক্তি তিয়রপাড়া মহল্লায় থাকা পুকুরে মাছ এবং জমিতে জমিতে ধান চাষ করেন। গত শনিবার সকালে ওই মহল্লার দরীদ্র জসিম উদ্দিনের শিশু ছেলে রাসেল তাদের গরু কে ঘাস এবং কচুরিপানা খাওয়ানোর জন্য নিয়ে যায় সেখানে থাকা খাল পাড়ে। অসাবধানতা বশতঃ গরু লাভলুর চাষ করা ধান ক্ষেতের কয়েক থোপা ধান খায়। এটা দেখতে পেয়ে লাভলু ওই শিশুকে দাবড়িয়ে বেদম মারপিট করতে থাকে। ছেলের চিৎকারে এগিয়ে যায় মা রানী বেগম (৩৬)। এতে আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে লাভলু। সে রানী বেগমকে নির্মম ভাবে পিটিয়ে আহত করে। পরে পাড়া-প্রতিবেশীরা রানী বেগম কে উদ্ধার করে আদমদীঘি উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করায়। প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে সে পরেদিন রবিবার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু অভিযোগটি আমলে নেয়া হয়েছে কি-না সেটি জানে না নির্যাতিত গৃহবধু রানী বেগম। বৃহস্পতিবার উপজেলা হাসপাতালে আলাপ কালে তিনি জানান, শুনেছি গত মঙ্গলবার দেশের বেশ কিছু দৈনিক পত্রিকায় খবর ছাপা হবার পর পুলিশ আমার বাড়িতে গিয়েছিল। কিন্তু হাসপাতালে থাকায় দেখা ও কথা হয়নি। এর পর পুলিশ কি ব্যবস্থা নিল তা জানি না। সরেজমিন এলাকাবাসী জানায় এ রকম সামান্য ঘটনায় ওই প্রভাবশালী ব্যক্তি ইতিপুর্বে ৫/৬ জনকে নির্যাতন করেছে। পিটিয়ে মেরেছে গবাদী পশু। ওই এলাকার প্রদীপ ভৌমিক, হুমায়ন কবির বাদশা, জাহাঙ্গীর আলম চায়নাসহ অনেকে বলেন, মোস্তাফিজুর রহমান লাভলু ওই মহল্লার এক দরীদ্র নারী ধর্ষন মামলায় জেল হাজত থেকে বেরিয়ে আসার পর থেকে বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। এ বিষয়ে আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্য জালাল উদ্দিন জানান, ওই নারী হাসপাতালের ছাড়পত্র নিয়ে অভিযোগ দিয়েছে। সে কারনে অভিযোগটি আমলে নেয়া হয়নি।