দালালের খপ্পরে পড়ে বিদ্যুৎ থেকে বঞ্চিত দেওয়ানগঞ্জ মদনেরচরের ৯৮টি পরিবার!
ওসমান হারুনী,জামালপুর প্রতিনিধি: দালালের খপ্পরে পড়ে বিদ্যুতের আলো থেকে বঞ্চিত জামালপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ইসলামপুর জোনাল অফিসের আওতায় দেওয়ানগঞ্জের মদনের চরের শতাধিক পরিবার। ভোক্তভোগী এলাকাবাসী দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার বাহাদুরাবাদ ইউনিয়নের মদনেরচরের বাসিন্দা আব্দুল খালেকের ছেলে মলিন,খলিল ও সাজুসহ বিদ্যুৎ গ্রাহক কাইয়ুম,হাফিজ ও ছলেভানসহ অনেকের অভিযোগ,মদনেরচর গ্রামের আ:লতিফের পুত্র আলি আহমদ ওরফে হুজুর মিয়া পল্লী বিদ্যুতের অফিসের কথা বলে গত দেড়/দুই বছর ধরে তাদের এলাকার ৯৮টি মিটার দেওয়ার জন্য বিভিন্ন অজুহাতে ৩হাজার থেকে ৫হাজার করে টাকা নিয়েছে। কিন্তু গত দুই বছর ধরে মিটার দেই-দিচ্ছি বলে নানান তালবাহানা করে আসছে। সরেজমিনে মদনেরচরের গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে এলাকায় বৈদ্যুতিক লাইন রয়েছে,রয়েছে খুটিতে ট্রান্সমিটার,ট্রান্স মিটার থেকে গ্রাহকের ঘরে ওয়েরিং বোর্ড পর্যন্ত সার্ভিসিং তারও ঝুলছে কিন্তু গ্রাহকের ঘরে নেই মিটার । ফলে দীর্ঘ দিন ধরে ওই গ্রামের ৯৮টি গ্রাহক তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে অন্ধকারে দিন কাটাচ্ছেন। পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের অসাধু দালালদের খপ্পরে পড়ে “শেখ হাসিনার উদ্যোগ ঘরের বিদ্যুৎ” এর সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে মদনেরচরের ৯৮টি পরিবার। ভোক্তভোগী গ্রাহক শাহজাহান,হোসেন আলী,ইমান আলী,কফিল,খায়রুল ও শামিম জানান, তাদের মিটার কবে আসবে এ ব্যাপারে তারা হুজুর মিয়া কে বলেতে গেলে গ্রাহকেদের কাছে আরো টাকা দাবী করছে সে। চাহিদা মতো টাকা না দিতে চাইলে এলাকার বিদ্যুতের খুটি থেকে ট্রান্সমিটার নামিয়ে রাখার হুমকী দিচ্ছে দালাল আলি আহমদ ওরফে হুজুর মিয়া । এ ব্যাপারে অভিযোক্ত আলি আহমদের সাথে ফোনে কথা বলার চেষ্টা করলে সে উপরোক্ত অভিযোগগুলি পাশ কাটিয়ে যান এবং এ ব্যাপারে পল্লী বিদ্যুতের ইলেক্ট্রিশিয়ান মাইনুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করতে বলেন। এব্যাপারে মাইনুল ইসলামের সাথে ফোনে সোমবার সকালে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আলি আহমদের সাথে মদরের চরে বিদ্যুত গ্রাহকদের ঘর ওয়েরিং করার কথা ছিল সে গ্রাহকের কাছে কোন টাকা নেইনি। এ ব্যাপারে ভোক্তভোগী পল্লী বিদ্যুতের মদনেরচরের গ্রাহকরা জামালপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ইসলামপুর জোনাল অফিসের ডিজিএম সহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট তাদের ঘরের মিটার গুলো লাগানোর ব্যাবস্থাসহ দালাল আলি আহমদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থার নেওয়ার দাবী জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে পল্লী বিদ্যুৎ ইসলামপুর জোনাল অফিসের ডিজিএম শিফাজ উদ্দিন মুল্লিকের সাথে কথা হলে তিনি জানান, তিনি বিষয়টি খুজ ঁখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নিবেন।