এমপি ফারুকবিরোধী শিবিরে হতাশা
তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি: রাজশাহী-১ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সাংসদ আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধূরীবিরোধী শিবির ফের রণেভঙ্গ দিয়ে লেজ গুটিয়েছে। স্থানীয়রা জানায়, রাজনৈতিক অঙ্গনের অশুভ চক্রটি এমপি ফারুক চৌধূরীকে ঠেকাতে দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের লেবাস নিয়ে জামায়াত-বিএনপির বি-টিম হয়ে কাজ করছে। জনগণের উপর আস্থা হারিয়ে জামায়াত-বিএনপি মতাদর্শী কিছু চেনা মূখের টাউট-বাটপারদের সহায়তায় এবার তারা নাটক-সিনেমার বাজার হারানো একশ্রেণীর বির্তকিতদের পিছু নিয়েছে, তবে এবারেও শেষ রক্ষা হয়নি। কিšত্ত বার বার তাদের সব প্রচেস্টা ব্যর্থ ও পরাজিত হচ্ছে এবারো হয়েছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী (মুজিববর্ষ-২০২০) উদযাপনে পুরো জাতি যখন অধির অপেক্ষায় রয়েছে, তখও এরা আওয়ামী লীগের লেবাসে জামায়াত-বিএনপির বি-টিম হয়ে কাজ করছে। অশুভ চক্রটি এবার ঢালিউডের বেকার একশ্রেণীর বির্তকিত শিল্পী এনে আওয়ামী লীগের স্লোগানে বিভিন্ন অনুষ্ঠান করলেও সেখানে আওয়ামী লীগের কোনো নেতাকর্মীকে আমন্ত্রণ না জানিয়ে জামায়াত-বিএনপির নেতাকর্মীদের আমন্ত্রণ করছে। তাদের উদ্দেশ্যে যেকোনো মূল্য আওয়ামী লীগে দলীয়কোন্দল সৃস্টি করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করা। তবে সাধারণের কাছে তাদের এসব ষড়যন্ত্র ধরা পড়ায় এবারো তারা ব্যর্থ হয়ে রণেভঙ্গ দিয়েছে। তৃণমূলের ভাষ্য, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের বিপদগামী সাবেক এক নেতার নেপথ্যে মদদে জামায়াত-বিএনপির আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতায় উপজেলা আওয়ামী লীগের বিপদগামী, টেন্ডারবাজ-চাঁদাবাজ-দলব্যবসায়ী-দখলবাজ ও জনবিচ্ছিন্ন একশ্রেণীর নব্য কোটিপতি এমপি ফারুকের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার-ষড়যন্ত্র করে আসছে। কিšত্ত কর্মী-জনবান্ধব, রাজনৈতিক দূরদর্শীতাপন্ন গণমানুষের নেতা এমপি ফারুকের কাছে তারা বার বার ধরাশয়ী হয়েছে। তারা জনগণের কাছে থেকে সাঁড়া না পেয়ে এবার সিনেমা-নাটকের মানুষের উপর ভর করেছে, তবে তাদের সেই প্রচেস্টাও ব্যর্থ হয়েছে।
অন্যদিকে একের পর এক তাদের করা এসব ষড়যন্ত্রের খবর ছড়িয়ে পড়লে এবার তাদের বিরুদ্ধে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। ফলে তাদের পায়ের নিচের মাটি সরে যেতে শুরু করেছে অনেকের জনবিচ্ছিন্ন হয়ে রাজনীতি থেকে নির্বাসনে যাবার উপক্রম হয়েছে। রাজনীতিতে দিন দিন তারা একা হয়ে পড়েছে। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ, প্রবীণ-ত্যাগী-নিবেদিতপ্রাণ নেতাকর্মীরা তাদের ওপর থেকে মূখ ফিরিয়ে নিয়েছে,পাশপাশি তৃণমূলের নেতাকর্মীরাও তাদের ত্যাগ করেছে, ফলে রাজনীতিতে এখন তাদের টিকে থাকায় কঠিন হয়ে পড়েছে। জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত দায়িত্বশীল জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে মানহানিকর, কুরুচিপূর্ণ মিথ্যাচার করে এরা কেন্দ্রের কাছে ধরা থেয়েছে না পারছে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ও এমপির কাছে আসতে না পারছে রাজনীতির মাঠে নামতে “শ্যাম রাখি না কুল রাখি’ অবস্থায় পড়ে রাজনীতি থেকে নির্বাসনে যাবার উপক্রম হয়েছে। এমপি ফারুকের বিরুদ্ধে এরা নানা ষড়যন্ত্র, মিথ্যাচার, অপতৎপরতা ও সংগঠনবিরোধী নানা কর্মকান্ড করেও এমপির জনপ্রিয়তার কাছে তারা হার মানতে বাধ্য হয়েছে। একদিকে তাদের এমপিবিরোধী এসব মিথ্যাচার ও অপতৎপরতার কারণে তৃণমূল তাদের ওপর বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে, অন্যদিকে তৃণমূলে এমপির জনপ্রিয়তা প্রতিনিয়ত বাড়ছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।