পাবনায় অবৈধ্যভাবে বালু উত্তোলন ফসলি জমি রক্ষায় কৃষকদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ
এম মনিরুজ্জামান, পাবনা: পাবনার সদর উপজেলার চরতারাপুর ইউনিয়নের পদ্মা নদী থেকে অবৈধ্যভাবে বালু উত্তোনের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রশাসনের অবহেলায় বালু দস্যুরা দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠায়, বুধবার সকালে জমির মালিক ও কৃষকদের আয়োজনে পদ্মা নদীর পাড়ে বিশাল মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে ভুক্তভোগীরা বলেন, এলাকার প্রভাবশালীরা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে নদীর গভীর থেকে প্রতিদিন অসংখ্য নৌকা ও ট্রাক ভর্তি বালু উত্তোলন করছে, এতে নিউ পূর্বপাড়া ও চরতারাপুর মৌজার একটি গ্রাম সহ হাজার হাজার বিঘা ফসলি জমি, ঘরবাড়ি ও বিদ্যুৎতের খুঁটি হুমকির মুখে পড়ছে, বালু উত্তোলন বন্ধে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেও ফল পাচ্ছি না, এ ব্যাপারে প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট সবার কাছে কঠোর হস্ত্যক্ষেপ কামনা করছি। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নিউ পূর্বপাড়া ও চরতারাপুর মৌজায় প্রায় ৩০-৪০টি ড্রেজার মেশিন বসিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে। প্রতিদিন তারা শত শত নৌকা ও ট্রাক বালু উত্তোলন ও বিক্রি করে লাভবান হলেও এলাকার ফসলি জমি, ঘরবাড়ি ও বিদ্যুৎতের খুঁটি সহ বিভিন্ন স্থাপনা হুমকির মুখে পড়ছে। এতে নদীর তীর ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। নিউ পূর্বপাড়া ও চরতারাপুর মৌজার কয়েকজন কৃষক বলেন, বালু দস্যুরা এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ তাদের বাধা দেয়ার সাহস করে না। এরা ড্রেজার মেশিন বসিয়ে নদীর গভীর থেকে বালু উত্তোলন করছে। তারা আরো বলেন ড্রেজিং পদ্ধতিতে বালু উত্তোলন করা হলে ভরা বর্ষায় তাদের বসত ভিটা ও ফসলি জমি আরো নদীগর্ভে বিলন হবে। যদিও সরকার ২০১০ সালে বালু উত্তোলন নীতিমালায় যন্ত্রচালিত মেশিন দ্বারা ড্রেজিং পদ্ধতিতে নদীর তলদেশ থেকে বালু উত্তোলন নিষিদ্ধ করেছেন । অথচ বালু দস্যুরা সরকারি ওই আইন অমান্য করে নিউ পূর্বপাড়া ও চরতারাপুর মৌজার জমি থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে। কৃষকরা অবৈধ্য বালু উত্তোলনের জন্য চরতারাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রবিউল হক টুটুল, ভারাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সাইদ খান ও পাবনা সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য সিদ্দিকুর রহমান কে দায়ী করে। এ ব্যপারে চরতারাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রবিউল হক টুটুল ও পাবনা সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য সিদ্দিকুর রহমান বলেন, বালু উত্তোনের সাথে আমরা জড়িত নয়, আমাদের সুনাম ক্ষুন্য করার জন্য এ অপবাদ দেওয়া হচ্ছে। পাবনা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়নাল আবেদিন বলেন, খুব শিগগিরই অবৈধ্যভাবে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন চরতারাপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও সুজানগর উপজেলা আ.লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল জলিল বিশ্বাস, চরতারাপুর ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি জালাল উদ্দিন বিশ্বাস, পাবনা সদর থানা আ.লীগের সদস্য বকুল খান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মকছেদ আলী, পাবনা জেলা পরিষদের সদস্য ও সুজানগর উপজেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা, সুজানগর পৌর আ.লীগের সভাপতি ফেরদৌস আলম ফিরোজ, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম তমাল প্রমুখ।