জলার শ্রেষ্ঠ স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার সম্মাননা পেলেন গোপালপুরের ডা. আলিম আল রাজী

এ কিউ রাসেল, গোপালপুর (টাঙ্গাইল): মুজিব বর্ষে টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. আলিম আল রাজী জেলা শ্রেষ্ঠ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসেবে সম্মাননা পুরস্কার পেয়েছেন। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি সোমবার টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন অফিসে স্বাস্থ্য বিভাগীয় মাসিক সমন্বয় সভায় টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. মো. ওয়াহিদুজ্জামান এ স্বীকৃতি স্বরূপ সম্মাননা স্মারক তার হাতে তুলে দেন।এ সময় ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মো. রফিকুল ইসলামসহ টাঙ্গাইলের সকল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাসহ স্বাস্থ্য বিভাগের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারিরা উপস্থিত ছিলেন।জানা যায়, ডা. মো. আলিম আল রাজী গত বছরের ৯ ফেব্রুয়ারিতে গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহন করেন। তিনি দায়িত্বভার গ্রহনের পর থেকেই পাল্টে যাচ্ছে গোপালপুর হাসপাতালের চিকিৎসা সেবার মান ও পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা। রোগী বিমুখ হাসপাতালটি এখন উপজেলার ৩লাখ মানুষের সেবার ভরসাস্থলে পরিণত হয়েছে।শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের ডিজিটাল কার্যক্রমের অংশ হিসাবে স্টাফদের বায়োমেট্রিক হাজিরার মাধ্যমে যথাসময়ে হাসপাতালে হাজিরা ও প্রস্থান নিশ্চিত করণ, হাসপাতাল চত্বর ও বহিরাঙ্গণের দৃশ্যমান স্বাস্থ্যগত, সৌন্দর্যগত পরিবর্তন এবং চিকিৎসা সেবায় গুণগত পরিমানগত উৎকর্তা ও রুপান্তর সাধন করায় তিনি এ পুরস্কার অর্জন করেন বলে জানা যায়।এছাড়াও তিনি মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয় সর্ম্পকিত সংসদীয় কমিটির সদস্য এবং স্থানীয় আসনের সংসদ সদস্য ছোট মনির এম.পি’র পরামর্শ ও সহযোগিতায় হাসপাতালে ভি.আই.পি কেবিন নিমার্ণ, মুক্তিযোদ্ধা কেবিন নির্মাণ, হাসপাতালে আগত বীরমুক্তিযোদ্ধাদের ফ্রি চিকিৎসা নিশ্চিতকরণ, হাসপাতালের বেড ওকুপেন্সী রেট বৃদ্ধি, হাসপাতালের পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার ব্যাপক অগ্রগতি, কর্মরত সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা কর্মচারীদের দায়িত্বশীলতা বৃদ্ধি, সেবার মান বৃদ্ধি, বন্যাসহ সকল প্রকার প্রাকৃতিক দুর্যোগে সংক্রিয় অংশ গ্রহন, মাঠ পর্যায়ে শতভাগ ই.পি.আইসহ সকল প্রকার কার্যক্রম বৃদ্ধি, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পর্যায়ে স্থাপিত ২৯টি কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে প্রান্তিক পর্যায়ে মানুষদের বিনামূল্যে স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতকরণসহ নানা কার্যক্রম সফল ভাবে পরিচালনা করে যাচ্ছেন।ডা. মো. আলিম আল রাজী জানান, হাসপাতালটিকে তিনি একটি আধুনিকমানের পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রোগী বান্ধব হাসপাতাল করতে চান। সে লক্ষে তিনি দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যে জরাজীর্ণ পরিবেশের মধ্যে থাকা রুগ্ন হাসপাতালটি এখন পুরো ক্যাম্পাসটি এখন পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন। প্রতিটি ওয়ার্ড এবং টয়লেট গুলো এখন ব্যবহারের উপযোগি এবং র্দুগন্ধহীন। এমপি মহোদয় এর সহযোগিতায় মুজিব বর্ষে গোপালপুরবাসির জন্য হাতপাতালে ইতিমধ্যে আধুনিক সুযোগ সুবিধা সমৃদ্ধ একটি এ্যাম্বুলেন্স আনা হয়েছে। এটা গোপালপুরবাসির জন্য মুজিব বর্ষে সেরা প্রাপ্তি।
মুজিব বর্ষ উপলক্ষে মার্চ মাস হাসপাতাল পরিচ্ছন্ন মাস হিসেবে পালন করবে, ছোট মনির এমপি মহোদয়ের নিজ হাতে এ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করার কথা রয়েছে। এসময় পুরো হাসপাতাল চত্বরের ভিতর-বাহির ঝকঝকে থাকবে। আলট্রাসনো মেশিন ও ডিজিটাল এক্সরে মেশিন আগামী ২/৩ মাসের মধ্যে আনার চেষ্টা রয়েছে এবং তিনি আশা করেন, আনতে পারবেন। রোগীদের আলাদা খাবার ডাইনিং বানাবো হবে, যাতে ওয়ার্ড ময়লা না হয়। স্টমাক ওয়াশ রুম করবো, সামনে ফুল বাগান ও পাবলিক গ্যারেজ করার পরিকল্পনা রয়েছে। ডিজিটাল গেটওয়ে বাউন্ডারি ওয়াল তৈরি, নতুন ভবন, সিজারিয়ান চালুকরণ ও সিসি ক্যামেরা লাগানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা রয়েছে। এম পি মহোদয়ের পরামর্শ, নির্দেশনা ও সহযোগিতায় তিনি হাসপাতালের উন্নয়নের জন্য নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন এবং যাবেন বলে তিনি দাবি করেন।প্রসঙ্গত, গোপালপুর হাসপাতালে চিকিৎসাসহ সকল সেক্টরে দৃশ্যমান ও ডাইনামিক পরিবর্তন আনার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. আলিম আল রাজী সর্বমহলে নন্দিত ও প্রশংসিত হয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *