রাজবাড়ী নিরীহ ২ ব্যবসায়ীকে মিথ্যা মামলায় ইয়াবা ট্যাবলেট দিয়ে চালান॥ প্রতিকার চেয়ে আইজি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নিকট আবেদন

স্ট্যাফ রিপোর্টার, রাজবাড়ী: রাজবাড়ী সদর উপজেলার বসন্তপুর ইউনিয়নের রঘুনাথপুর এলাকার নিরীহ ২ ব্যবসায়ীকে আটক করে পুলিশ ৩৪ পিছ ইয়াবা ট্যাবলেট দিয়ে গত ৬ ফেব্রুয়ারী আদালতে চালান দিয়েছে। এ ঘটনার পর এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। মামলা সূত্রে জানা যায়, খানখানাপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই মোঃ মাসুদুর রহমান সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স নিয়ে গত ৫ ফেব্রুয়ারী রাত ১১ টার সময় রঘুনাথপুর বাজার বটতলা এলাকায় মাছরাঙ্গা ক্ষুদ্র সমবায় সমিতি লিঃ এর সাধারণ সম্পাদক পাপ্পু বিশ্বাস (৩২) ও উক্ত সমিতির ক্যাশিয়ার মোঃ রাফেজ শিকদার (২৫) কে গ্রেফতার করে। ধৃত আসামীরা হচ্ছেন- মজলিশপুর গ্রামের মজিবর রহমানের পুত্র পাপ্পু বিশ্বাস ও পাশ্ববর্তী বড়রঘুনাথপুর গ্রামের ওহাব শিকদারের পুত্র রাফেজ শিকদার। এস আই মাসুদুর রহমান তাদের নিকট থেকে ৩৪ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট ও নগদ ১০ হাজার ৯শত ৮০ টাকা উদ্ধার দেখিয়ে রাজবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করে। থানার মামলা নং- ১০ (২) ২০২০। এ ঘটনার পর এলাকায় পুলিশের মামলা নিয়ে নানা গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ছে। অনেকেই বলছে পুলিশ নিজের পকেটে থাকা ইয়াবা ট্যাবলেট দিয়ে ২ জন নিরীহ ব্যবসায়ীকে কুচক্রী মহলের প্রলোভনে তাদের ফাঁসিয়ে দিয়েছে। অপর দিকে পুলিশের আসামী পাপ্পু বিশ্বাসের স্ত্রী মোছাঃ তারিন আক্তার গত (৯ ফেব্রুয়ারী) রবিবার ঢাকায় মহা পুলিশ পরিদর্শকের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। অভিযোগে প্রকাশ রঘুনাথপুর বাজার বটতলা মাছরাঙ্গা ক্ষুদ্র সমবায় সমিতি লিঃ এর অফিস ঘর থেকে পুলিশ রাত সাড়ে ১১ টার সময় তার স্বামী ও তার ব্যবসায়ী সহযোগী রাফেজ শিকদারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। অফিসের ড্রয়ার থেকে নগদ ৩৩ হাজার ৫ শত ৭০ টাকা, ২ টি শাওমি মোবাইল ফোন ও ৪টি নোকিয়া মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। অথচ পুলিশ উদ্ধারকৃত টাকার মধ্যে মাত্র ১০ হাজার ৯ শত টাকা দেখায়। রাত দেড়টার দিকে ফরিদপুর কোতয়ারী থানার ফতেপুর গ্রামের অটোচালক নুর উদ্দিন খান (৫২) ও বসন্তপুর ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামের যাত্রী মোঃ জাহিদুল ইসলাম (৩০) কে ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ তালিকায় তাদের স্বাক্ষী করা হয়েছে। এ ব্যাপারে তাহারা ২ আসামীদের নিকট থেকে ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার দেখে নি। অটো চালক কালাম জানান, রাতে পুলিশের পকেট থেকে ইয়াবা ট্যাবলেট বের করে দারোগা মাসুদ আমাকে দেখান। কতগুলো ট্যাবলেট পাওয়া গেছে তাও আমাদের জানায় নি। অপর স্বাক্ষী জাহিদ শেখ জানান, পুলিশ সাদা কাগজে ভয় দেখিয়ে আমাদের সই নিয়েছে। আমি আসামীদের চিনি না। তাদের নিকট থেকে ইয়াবা উদ্ধারের ঘটনাও দেখি নেই। দারোগা মাসুদকে জিজ্ঞাসা করলে, সে বলেন আমি কিছু বলতে পারছি না। আমার যা বলার মামলায় বলে দিয়েছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *