বঙ্গবন্ধুর আদর্শে নেই সরিষাবাড়ী মাহমুদা সালাম মহিলা কলেজ
জামালপুর (সরিষাবাড়ী) প্রতিনিধি: জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে মাহমুদা সালাম মহিলা মাষ্টার্স কলেজের ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল এবং গভর্নিং বডির সভাপতি স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে নেই বলে জানিয়েছেন অন্তরালের গুণীরা। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ছিলো দারিদ্র্য মোচন ও মানবিক উন্নয়নের স্বদিচ্ছা। তাঁর আদর্শিক মতাদর্শে সরিষাবাড়ী মাহমুদা সালাম মহিলা মাষ্টার্স কলেজের প্রিন্সিপাল ও গভর্নিং বডির সভাপতি আওয়ামীলীগের অন্তর্ভূক্তিতে থাকলেও স্থপতির আদর্শ বিবর্জিত কর্মকান্ডের অপতৎপরতার সন্ধিক্ষণে দরিদ্র শিক্ষার্থীদের শোষণ করে আসছে বলে সূক্ষ্ম অনুমানে উপনীত হয়েছেন তাঁরা । তাদের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ অনুপরিমান রয়েছে কীনা এ বিষয়ে বোধগম্যহীনতায় রয়েছেন স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধুর এক (০১) আদর্শের সৈনিকরা। শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের নির্দেশনাকে উপেক্ষা করে এখন পর্যন্ত মাহমুদা সালাম মহিলা কলেজের প্রিন্সিপাল কর্তৃত্ববাদীর ছত্রছায়ায় মনগড়া আইনী প্রক্রিয়াকরণে (কথিত রমেশ চন্দ্র সূত্রধর) এতিম, অনাথ ও গরীবের অন্তর্ধ্যানী ক্রন্দনের বিষয়ে অনুধাবনে না থেকে ভর্তি, ফরম ফিল্যাপ ও চলমান উপবৃত্তির চাওয়া পাওয়ার আহাজারি তাদের (কর্তৃপক্ষ) কর্ণগোচরে পৌছায়না। এমন মানবতাহীন ব্যক্তিরা দরিদ্র শিক্ষার্থীদের মানবিক উন্নয়নের দিকে না তাকিয়ে অপ-কৌশলে সরকারের নির্ধারিত খরচের চেয়েও অতিরিক্ত টাকা আদায় করছে। ফরম ফিল্যাপের নির্দিষ্ট সময় সুচি গোপন রেখে মনগড়া ভাবে একটি শেষ তারিখ নির্ধারন করে শিক্ষার্থীদের মানুষিক চাপ ও আতংকে ফেলে ব্যাংক ড্রাপ্ট এর মাধ্যমে হত-দরিদ্রদেরকে কোন রকম সহযোগিতা করছেনা এবং বেধে দেয়া নির্ধারিত অর্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে (কলেজ কর্তৃপক্ষ থেকে) বলা হয়, “ইহা শিক্ষা বোর্ডের সরকারি খরচের টাকা তোমরা ব্যাংক ড্রাপ্ট এর মাধ্যমে পাঠিয়ে দাও। এখানে আমাদের কিছুই করার নেই”। জানাযায়, ব্যাংকে যে একাউন্টে টাকা জমা হচ্ছে তা ঐ কলেজের কর্তৃপক্ষ ও গভর্নিং বডির সভাপতির সমন্বয়ে করা হয়েছে । শিক্ষার্থী কর্তৃক ফরম ফিল্যাপের টাকা ব্যাংক একাউন্টে জমা হওয়ার পর মুহূর্তেই তুলে নেওয়া হয় ও ভাগ ভাটোয়ারায় কর্তৃত্ববাদীদের পকেটস্থ হচ্ছে ৷ বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এর সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সকল নেতা-কর্মীদের বঙ্গবন্ধুর আদর্শ মেনে চলার নির্দেশনা দিয়ে থাকলেও মাহমুদা সালাম মহিলা মাষ্টার্স কলেজের প্রিন্সিপাল রমেশ চন্দ্র সূত্র ধর তা মেনে চলছেনা বলেও জানাগেছে। তৃণমূলে স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগে অনোভিপ্রেত অনুপ্রবেশকারি কিছু অসংবেদনশীল স্বার্থান্বেষী অপরাজনীতিক ব্যক্তিত্ব স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে কলুষিত করছে বলেও তথ্যানুসন্ধান মহলের তথ্য উপাত্তে উঠিয়ে আনা হয়। স্থপতির আদর্শ থেকে স্বাধীনতার চেতনায় সৃষ্টি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মানবিক উন্নয়নের পদচারনায় দারিদ্র্য মোচনের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর অত্যন্ত আস্থাভাজন শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দিপু মনি বলেছিলেন, “সরকারী খরচের উপরে অর্থ হাসীল করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে”। তার পরেও এমন অসংবেদনশীল আওয়ামীলীগের দাবিদারে থাকা স্থপতির (বঙ্গবন্ধু) মতাদর্শ থেকে অনেক দুরে অবস্থান করছে মহিলা কলেজের কর্তৃপক্ষ বলে জানিয়েছেন বিশ্ব সরকারের প্রতিনিধি মহল। অত্র মহলের তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক জ্ঞান থেকে আরও জানাযায়, “জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা ও স্বার্বভৌমত্ব অর্জনের ভূমিকায় ছিলেন অগ্রনায়ক এবং মানুষের সম-অধিকার প্রতিষ্টায় বিশ্বাসী ছিলেন তিনি। হতদরিদ্রদের প্রতি মানবিক সহমর্মিতা ছিলো তাঁর অনেক বেশী। স্থপতির আদর্শে মূলত বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের পদচারণা ও উদ্দেশ্য ছিলো দরিদ্র, হতদরিদ্র ও দারিদ্রসীমার নীচে বসবাস করে এদের মৌলিক চাহিদা নিশ্চিত করণের পর মানবিক উন্নয়ন সমেত আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের মধ্যদিয়ে শোষণ নয় সু-শাসনের বার্তা বহন করে চলেছেন এবং দরিদ্রদের অভাব মোচন, অপশক্তির হাত থেকে এদেশকে রক্ষা ও উন্নয়নের গবেষনায় লব্ধ থাকতেন তিনি (বঙ্গবন্ধু)”। স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ৭১ এর স্বাধীনতার উপঢৌকন ছিল এক (০১) ঐপেনিবেশিক অর্জন। দারিদ্র মোচনে ও মানবিক উন্নয়নের সূত্রনীতি প্রয়োগের বার্তা বঙ্গবন্ধু দিয়ে থাকলেও তা স্থপতির আদর্শগত পদচারণা বা দিক নির্দেশানা বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সম্পন্ন করতে চাইলেও তৃনমূলে দুর্নীতি গ্রস্থ ও আওয়ামীলীগ দাবিদারে থাকা নেতৃত্বস্থানীয়রা অপ-সাংবাদিকদের সাথে সজন প্রীতি ও অর্থনৈতিক সংগতি অর্পণের সন্ধিক্ষণে শিক্ষাঙ্গনের এমন সংস্কার, উন্নয়ন ও মানবিক উন্নয়নের তথ্য বিলুপ্তির অন্তর্ধ্যানী গুমরাহী রাষ্ট্র ও সরকারকে সঠিক তথ্য উপাত্ত্ব থেকে বঞ্চিত করছে।