তানোরে অফিস সহকারীর দৌরাত্ম
তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোর পৌর এলাকার বির্তকিত একটি পরিবারের সদস্য ও ঐতিহ্যবাহী একটি কলেজের অফিস সহকারী-কাম লাইব্রেরিয়ানের দাপটে শিক্ষক-কর্মচারী ও সাধারণ মানুষের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। স্থানীয়রা জানান, এক সময়ের বিএনপির দাপটে এই নেতা আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশ করেই রাতারাতি আকাশচুম্বি ক্ষমতার অধিকারী। ফলে এলাকার সাধারণ মানুষ ও শিক্ষক-কর্মচারীদের কাছে তিনি এখন মূর্তিমান আতঙ্ক। তিনি কলেজের একজন অফিস সহকারী (কর্মচারী) ! ঘোরেন একটি জাম রঙ্গের মটর বাইকে উপজেলার একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্ত সব প্রান্তেই তার বিচরণ। কিšত্ত একজন অফিস সহকারী (কর্মচারি) বা রাজনৈতিক নেতার ভালো গুন থাকলে যে বিচরণটা লক্ষ্য করা যায় সেই গুনের অধিকারী তিনি নন। তিনি কলেজের কর্মচারি হলেও ক্ষমতায় অধ্যক্ষেরও উপরে তার দাপটের কাছে সবাই অসহায়, তিনি কখানোই নিয়মিত কলেজে উপস্থিত না হয়ে পুরো মাসের স্বাক্ষর দিয়ে বেতন ভাতা উত্তোলন করেন বলে আলোচনা রয়েছে। স্থানীয়রা বলেন, এই অফিস সহকারী এলাকাকে তার নিজের রাজ্যে ও জনগণকে প্রজা মনে করে এসব করছে যেনো দেখার কেউ নাই তায় রাজ্যে প্রজাগণের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।
স্থানীয়রা জানান, গভীর নলকুপের অপারেটর পরিবর্তন, সেচ মটরে বিদ্যুৎ সংযোগ, সরকারি খাস পুকুর দখল,তালন্দ বাজারের অসহায় প্রতিবন্ধীর সম্পত্তি জবরদখল, খাদ্যগুদামে সিন্ডিকেট করে খাদ্যশস্য সরবরাহ, তদ্বির, সালিশ বণিজ্য, ফরম পূরণের প্রতিশ্র“তি দিয়ে প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থীর ফরম পুরণের টাকা আতœসাৎ, কলেজের আয়-ব্যয়সহ শিক্ষক-কর্মচারীদের ওপর ছড়ি ঘোরানো, তাফসির মাহফিলের নামে ও বিভিন্ন অজুহাতে বাজারের বড় বড় ব্যবসায়ী এবং অফিস পাড়ায় চাঁদাবাজী, আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও দলীয়কোন্দলের বিষবাস্প ছড়ানো, বিভিন্ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থীর বিরুদ্ধে কাজ করা ইত্যাদি তাঁর প্রধান কাজ। তিনি কলেজের কর্মচারী হলেও কখানো কলেজে অবস্থান না করে উপজেলা জুড়ে এসব বিতর্কিত কমকান্ডে ব্যস্ত থাকেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক বলেন, পৌরসভার অর্ন্তগত তার এলাকার কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করতে হবে, কাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দিতে হবে, কাকে আটক করতে হবে, আর কাকে ছাড়তে হবে, সালিশে কার পক্ষে আর কার বিপক্ষে রায় হবে ইত্যদি নিয়ন্ত্রণ করে তিনি লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। সম্প্রতি মাদক দিয়ে যুবলীগের এক নেতাকে ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। স্থানীয়রা তার রাহুগ্রাস থেকে পরিত্রাণের আশায় স্থানীয় সাংসদ এবং উপজেলা চেয়ার্যানের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।