শেরপুরের নকলায় ছুরিকাঘাতে বর্গাচাষী খুনের ঘটনায় আসামীদের বাড়িঘর ভাংচুর , লুটপাটের অভিযোগ
হারুনুর রশিদশেরপুর প্রতিনিধি : শেরপুরের নকলা উপজেলার রুনীগাও গ্রামে ছুরিকাঘাতে বর্গাচাষী খুনের ঘটনায় আসামীদের বাড়িঘর ভাংচুর লুটপাট, গাছপালা ও বাগান নিধন ও মুলবান কাগজপএ পুড়ে ফেলায় অভিযোগ পাওয়াগেছে। আসামী পক্ষ এ ঘটনায় নিহতের পরিবার, আতœীয়স্বজন ও তার পক্ষাশ্রিত লোকজনকে দায়ী করলেও নিহতের ছেলে শামীম (৩০) জানিয়েছেন, তাদের লোকজন ভাংচুর কিংবা লুটতরাজের সাথে জড়িত নয়। খুনের ঘটনায় গ্রামবাসী ক্ষিপ্ত হয়েই এমনটা ঘটিয়েছেন বলে পাল্টা অভিযোগ করেন শামীম।স্থানীয় ও মামলার সূত্রে অভিযোগে জানাযায়, ছাগলে বোরো ধানের বীজতলা খাওয়াকে কেন্দ্র করে ১২ ফেব্রুয়ারী বুধবার সকালে রুনীগাও গ্রামের বদিউজ্জামানের পুত্র আহসানুল কবীরের (২৯) ছুরিকাঘাতে খুন হয় একই গ্রামের মৃত. নওয়াব আলীর পুত্র বর্গাচাষী আব্দুল বারেক (৫০)। এই ঘটনায় নিহতের পরিবার আহসানুল কবীরসহ ৬ জনকে আসামী করে নকলা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করলে পুলিশ আহসানুল কবীরকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করে। এরপর থেকেই বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যায় বদিউজ্জামান ও তার ৪ সহোদর সেকান্দর আলী, খলিলুর রহমান মাষ্টার, হাফিজুল ও মাহবুলের পরিবার। খুনের ঘটনার দিবাগত রাত থেকে পরদিন সকাল পর্যন্ত আসামীদের বাড়িঘরের তালা ভেঙ্গে চালানো হয় ভাংচুরের তান্ডব এবং লুট করা হয় ঘরের মূল্যবান আসবাবপত্র ও মালামাল এবং গুরুত্বপূর্ণ দলিলাদি। কেটে ফেলা হয় গাছপালা , শাকসব্জির বাগান ও পুড়ে ফেলা হয় মুলবান কাগজ পএ। বিবাদীপক্ষ জানায় এ ঘটনায় নগদ ২ লাখ টাকা , স্বর্নালংকার ১০ ভরি , ফ্রীজ,ফ্যান, চেয়ার টিবিল,ওয়ারড্রফট, পানির ট্যাংকি,খাট, চেক বই, দলিল , ধান চাল ৫০ মন স্টিলের আলমারি সহ প্রায় ২০ লক্ষ টাকার ক্ষতির স্বাধন হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে। অভিযোগের ভিত্তিতে ওই বাড়িতে স্থানীয় সাংবাদিকদের সরেজমিন অনুসন্ধানকালে বদিউজ্জামান ও তার ৪ সহোদরের পরিবারের কাউকেই বাড়িতে খুঁজে পাওয়া যায়নি। ভাংচুর আর লুটতরাজের ঘটনায় পুরো বাড়িই বিরান ভুমিতে পরিণত হয়েছে। কেটে ফেলা হয়েছে বাড়ির মূল্যবান গাছপালাসহ শাকসব্জির বাগান। বসত ঘরসহ বাড়ির প্রায় ১০টি ঘরে চালানো হয়েছে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটতরাজ। সরেজমিন অনুসন্ধানকালে আশপাশের লোকজন সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে বাড়ি থেকে সটকে পড়ে। নকলা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন শাহ জনান, এ বিষয়ে থানায় কেউ কোন অভিযোগ করেনি। এই বিষয়ে কোন অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।